পর্যায়ক্রমে সব বন্ধ পাটকল চালু করা হবে : পাটমন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, এক বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) সব বন্ধ মিল চালু করা হবে। বিজেএমসি’র ভাড়াভিত্তিক মিলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন ও উৎপাদিত পাটপণ্য রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আরও মিল চালু হলে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামে আমিন জুটমিল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিক একথা জানান তিনি। ভাড়াভিত্তিক মিলে  শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে অবসায়নকৃত শ্রমিকরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন বলেও মন্ত্রী জানান।
গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতিক বলেন, ইতোমধ্যে তিনটি জুট মিল (বাংলাদেশ জুট মিলস লিমিটেড, নরসিংদী; কেএফডি জুট মিলস লিমিটেড, চট্টগ্রাম; জাতীয় জুটমিল, সিরাজগঞ্জ) ভাড়াভিত্তিক ইজারা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। আরও তিনটি জুট মিলের লিজ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এগুলো চালু হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সরকারি সিদ্ধান্তে পাটকলসমূহের বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও পাটখাত পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ২৫টি জুট মিলের সব স্থায়ী শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ, ছুটি নগদায়নসহ সমুদয় পাওনা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
এছাড়াও, যাচাইকৃত বদলি শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি, মামলা নিষ্পত্তি/প্রত্যাহারজনিত স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা, মিল চলাকালীন সময়ের ৬৪ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের গ্রাচ্যুইটিসহ সব দায় এবং কাঁচাপাট ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে এ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
জুটমিল পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে চট্টগ্রাম বিজেএমসি’র ঊর্ধতন কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান স..জিয়াউর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.