পর্তুগালে যে কারণে বাড়ছে প্রবাসীদের সংখ্যা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপে সবচেয়ে বেশি অভিবাসীবান্ধব দেশ হিসেবে পরিচিত পর্তুগাল। তাই ইউরোপের অন্য দেশের তুলনায় পর্তুগালে বাংলাদেশিদের বসবাসের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে।
আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলীয় দেশটি বর্তমানে অভিবাসীদের বসবাসের সবচেয়ে পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে। দেশটিতে পড়াশোনা ও কাজের পাশাপাশি রয়েছে স্থায়ীভাবে বসবাস ও নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ।
এ ছাড়া ইউরোপীয়ন উইনিয়নের সবচেয়ে নিরাপদ দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দেশটি। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালি পাসপোর্টের তালিকায় ৫ নম্বরে রয়েছে দেশটির অবস্থান।
সহজেই বৈধতা পাওয়া যায় বলে প্রতি বছর লাখ লাখ অভিবাসী ভিড় জমান পর্তুগালে। অভিবাসীদের প্রতিবছরই দুহাত ভরে উষ্ণ স্বাগতম জানায় দেশটি। পর্তুগাল শুধু অভিবাসীবান্ধব দেশ নয়।
এ দেশটিতে পড়াশোনা খরচ ইউরোপের অন্য অনেক দেশের তুলনায় কম এবং কাজের সুবিধা অনেক। দেশটিতে কোনো অভিবাসীর বিরুদ্ধে মামলা না থাকলে সহজেই সহজেই নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ পেয়ে যান তারা।
পর্তুগালের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী অভিবাসীদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। ভিন্ন দলের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট হলেও অভিবাসীদের প্রতি তারা অনেক আশাব্যঞ্জক। আশা করা যায়, আগামী কয়েক বছর এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
করোনা মহামারির মধ্যেও পর্তুগালে অভিবাসীর হার বেড়েছে শতকরা ১২ ভাগ। ২০১৯ সালে যেখানে ৫ লাখ ৮৮ হাজার লোক বিদেশি নাগরিক বৈধভাবে পর্তুগালে বসবাস করতেন, সেখানে ২০২০ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার। এতেই বোঝা যায় দেশটির অভিবাসীদের প্রতি কতটা আন্তরিক। গতকাল পার্লামেন্টে মন্ত্রী এডোয়ার্ডো ক্যাব্রিতা এই তথ্য জানান।
অনেক বাংলাদেশি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গিয়ে ৮-১০ বছরেও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পচ্ছেন না। তাদের একটি বড় অংশ স্থায়ী বসবাসের সুযোগ নিতে পর্তুগালে চলে আসছেন। কারণ দেশটিতে কিছু সহজ নিয়ম মেনে আবেদন করলেই স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেয়ে যান তারা। কাগজ পাওয়ার ৫ বছরের মধ্যে হাতে পেয়ে যান পর্তুগালের পার্সপোর্ট। তাই পর্তুগালকে অনেকেই বলে থাকেন বাংলাদেশিদের শেষ ভরসার আশ্রয়স্থল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.