বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ‘আমাদের আক্রমণের শক্তিই ছিল না’, ম্যাচ শেষে সহজ স্বীকারোক্তি দিলেন ইভান হাসেক। চেক প্রজাতন্ত্রের কোচ বললেন, পর্তুগালের একের পর আক্রমণ কেড়ে নিয়েছিল তার দলের প্রাণশক্তি। তাই বল পায়ে পেলেও পাল্টা আক্রমণে যাওয়ার জন্য তেমন কোনো শক্তি অবশিষ্ট ছিল না খেলোয়াড়দের।
গোলের ব্যবধানই কেবল ন্যূনতম, মাঠের লড়াইয়ে পার্থক্য ছিল বিশাল। ৭৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ২৭টি শট নেয় পর্তুগাল, এর আটটি ছিল লক্ষ্যে। সাবেক ইউরো চ্যাম্পিয়নরা কর্নার পায় ১৩টি।
বেশিরভাগ সময় বলের পেছন পেছন দৌড়ানো চেক প্রজাতন্ত্র গোলের জন্য নিতে পারে কেবল পাঁচটি শট। লক্ষ্যে থাকা একমাত্র শটই জড়ায় জালে, দ্বিতীয়ার্ধের ৬২তম মিনিটে।
৬৭তম মিনিটে তাদের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচ ফেরে সমতা। যোগ করা সময়ে ডিফেন্ডারের ভুলের সুযোগ নিয়ে পর্তুগালকে এগিয়ে নেন ফ্রান্সিসকো কনসেইকাও।
ফলে দারুণ এক অঘটনের সম্ভাবনা জাগিয়েও ব্যর্থ চেক প্রজাতন্ত্র। এ নিয়ে এখন আর খুব বেশি না ভেবে পরের ম্যাচে সব দিক থেকেই উন্নতির তাগিদ দিলেন কোচ হাসেক।
“আক্রমণে পর্তুগালের মান খুব উঁচু। আমাদের দলের প্রত্যেকে মিলে রক্ষণ সামলেছে। এরপর আর আমাদের আক্রমণের শক্তিই ছিল না।”
“অবশ্যই অমন শেষ মুহূর্তে গোল হজম করায় আমরা হতাশ। তবে আমাদের মাথা উঁচু রাখতে হবে। উন্নতি করতে হবে, কারণ এটা আমাদের জন্য নিখুঁত ম্যাচ ছিল না।”
খেলোয়াড়দের প্রাণশক্তি দ্রুত কমছে খেয়াল করেই ফরোয়ার্ড পাত্রিক শিককে তুলে নেওয়া হয় বলে জানালেন হাসেক।
“রক্ষণের কাজও করতে হয়েছে পাত্রিক শিককে। একে খুব দ্রুত শক্তি হারাচ্ছিল সে। আমরা এর জন্য তৈরি ছিলাম। চার দিনের মধ্যে আমাদের আরেকটি ম্যাচ আছে, সেই ম্যাচের জন্য তাকে প্রস্তুত চাই আমরা।”
নিজেদের পরের ম্যাচে জর্জিয়ার মুখোমুখি হবে চেক প্রজাতন্ত্র। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.