পরীক্ষায় অংশনিলে শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও সার্টিফিকেট প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জেগে উঠছে।

আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে গণভবনে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও বই উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আজ যে পরীক্ষাগুলোর ফল প্রকাশ হয়েছে সেগুলো হচ্ছে—অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি)। এ চারটি পরীক্ষায় এবার সারা দেশে প্রায় ৫৭ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।

এতে জেএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৮৩ আর জেডিসিতে গড় পাসের হার ৮৯ দশমিক ৪ শতাংশ।

শিশুদের পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা নিয়ে হওয়া বিভিন্ন সমালোচনার জবাব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্লাস ফাইভে একটা পরীক্ষা হচ্ছে, ক্লাস এইটে একটা পরীক্ষা হচ্ছে। আমি জানি, অনেকে এর বিরুদ্ধে কথা বলে। অনেকের আপত্তিও আছে—কেন এই পরীক্ষা হচ্ছে? কিন্তু এই পরীক্ষাটা হওয়ার ফলে আমাদের ছেলেমেয়েদের ভেতরে, ওই ছোট ছোট শিশু তাদের ভেতরে তখন থেকে একটা আত্মবিশ্বাস জেগে উঠছে। এবং তারা যে পরীক্ষার পরে একটা হাতে সার্টিফিকেট পাচ্ছে, এটাও তাদের আমি মনে করি যে সামনের দিকে আরো পড়াশোনায় মনোযোগী করবে।’

পিইসি ও জেএসসির প্রয়োজনীয়তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘পাশাপাশি ক্লাস এইটে আবার একটা সার্টিফিকেট দিচ্ছি। এখানে আরেকটি বিষয় আমাদের দেখতে হবে যে, সকলেই তো একেবারে ধারাবাহিক উচ্চশিক্ষা নেবে না। এখানে কারিগরি শিক্ষা বা ভোকেশনাল ট্রেইনিং, অনেকের নানা ধরনের কার্যক্রম করার দক্ষতা থাকে, দক্ষতাটা বিকশিত হওয়া এটাও একটা প্রয়োজন। সেখানে একটা সার্টিফিকেট থাকলে তাদেরও সুবিধা। যে কেউ যদি একেবারে গতানুগতিক শিক্ষা গ্রহণ না করে যদি একটা কারিগরি দিকে যেতে চায়, তখন থেকে আমরা তাদের সে ব্যবস্থাটা করে দিতে পারি। তো সেভাবে আমরা ভোকেশনাল ট্রেইনিং, কারিগরি শিক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিবন্ধী শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ আরো অনেকেই এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জেএসসিতে এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন। জেএসসি ও জেডিসিতে নয়টি শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছেন ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৯ জন।

জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা গত ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়, শেষ হয় ১৫ নভেম্বর। এ দুটি পরীক্ষায় দেশের ২৯ হাজার ৬৭৭টি প্রতিষ্ঠানের ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

অপরদিকে পিইসি ও ইইসি পরীক্ষা ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২৬ নভেম্বর শেষ হয়। এ দুটি পরীক্ষায় এবার মোট ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৫ জন অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১২ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪২ জন ছাত্র এবং ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫২৮ ছাত্রী। ইবতেদায়ি সমাপনীতে ছাত্র এক লাখ ৬৬ হাজার ৮১৪ ও ছাত্রী এক লাখ ৫১ হাজার ৩৯ জন।

সাধারণত এসব পরীক্ষার ফল ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এ বছর ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন থাকায় এক সপ্তাহ আগে ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।#

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.