পরিবেশ সংরক্ষণে চলমান উদ্যোগ শক্তিশালী করা প্রয়োজন : পরিবেশ উপদেষ্টা

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে নতুন সহযোগিতার সুযোগ অনুসন্ধান এবং চলমান উদ্যোগগুলিকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলারের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল উপদেষ্টার সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক করে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বৈঠকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবেশগত এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মূল আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে ছিল বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনডিপির মধ্যে টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু সহনশীলতা, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো, পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় (ইসিএ) বাস্তুতন্ত্র ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা, হাওর অঞ্চলে স্থানীয় ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা, টেকসই শক্তি, কম-কার্বন নগর উন্নয়ন, জলবায়ু সহনশীল জীবনধারা, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের পরিমাণ হ্রাস করা।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ধারাবাহিক অংশীদারত্ব এবং নতুন উদ্ভাবনী সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে নতুন সহযোগিতার সুযোগ অনুসন্ধান এবং চলমান উদ্যোগগুলিকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে ইউএনডিপির প্রতিশ্রুতির পুনর্ব্যক্ত করেন।
এর আগে ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের নেতৃত্বে একটি ফরাসি প্রতিনিধিদল পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। বৈঠকে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞার জরুরি প্রয়োগ, জলবায়ু কর্ম সহযোগিতা, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, উপকূলীয় বনায়ন এবং অভিযোজন চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.