পরাজয়ের চোখ রাঙানি নিয়ে লড়াইয়ে বাংলাদেশ

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: লম্বা সময় ধরে ভুগতে থাকা ব্যাটিং বিভাগ নিয়ে ক্যারিবীয় মুল্লুকে আরেকবার হতাশা দেখল বাংলাদেশ। তাতে বোলারদের চেষ্টাতেও রক্ষা পাচ্ছে না সফরকারীরা।
আজ রবিবার (১৯ জুন) টেস্টের চতুর্থ দিনই পরাজয়ের খুব কাছে বাংলাদেশ। অনেকটা নিশ্চিত হারকে সামনে রেখেই অ্যান্টিগায় আজ চতুর্থ দিনের লড়াইয়ে সাকিব আল হাসানের দল।
ব্যাটিং দুর্দশায় অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনই ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এরপর বোলারদের কল্যানে ম্যাচে ফিরলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ফের হতাশা দেখালেন টপ অর্ডাররা। এর মধ্যে নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে আশা দেখান সাকিব আল হাসান। তাতে ইনিংস ব্যবধানে হার এড়িয়ে ক্যারিবীয়দের ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে মাঠে নামায় বাংলাদেশ।
কিন্তু ইনিংস ব্যবধানে এড়ালেও হার ঠিকই চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাদেশকে। মাত্র ৮৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের শুরুতেই তাদের তিন উইকেট তুলে নিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলেন খালেদ আহমেদ। তবুও জুটির দেখা পেয়ে গেছে ক্যারিবীয়রা। গতকাল দিনের শেষ দিকে উইকেটে থিতু হয়ে গেছেন দুই ক্যারিবীয় ব্যাটার জন ক্যাম্ববেল ও বনার।
তাই আজ চতুর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে সমীকরণটা খুব সহজ। চতুর্থ দিন জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাই আর মাত্র ৩৫ রান। অন্যদিকে এই হার সামলে জয়ের দেখা পেতে বাংলাদেশের চাই সাত উইকেট। যেটা অনেকটাই অসম্ভব।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে গতকাল তৃতীয় দিন ১১২ রান দূরে থেকে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। প্রথম সেশনেই মোট চার উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকা দুই বাঁহাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হককে সাজঘরে পাঠান কাইল মায়ার্স। এরপর কেমার রোচ ফেরান লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জয়।
দিনের শুরুতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ১৭ রানে বিদায় নেন শান্ত। মায়ার্সের সুইংয়ে ভুগতে দেখা যায় মুমিনুলকেও। তিনিও মায়ার্সের বলেই এলবির শিকার হন।
বছর জুড়ে ছন্দে থাকা লিটন দাস ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে পারলেন না হতাশার মুখ। রোচের করা স্টাম্পের বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলে আলগা শটে স্লিপে ক্যাচ দেন লিটন। ১৫ বলে ১৭ রানে শেষ হয় তাঁর ইনিংস।
এর একটু পরেই বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। গতকাল ব্যাটিংয়ে নেমে থিতু হয়ে যাওয়া জয় হুট করেই যেন মনোযোগ হারান। তিনিও উইকেটের পেছনে উইকেট উপহার দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ১৫৩ বলে তিন বাউন্ডারিতে ৪২ রান করে ফেরেন জয়।
প্রথম সেশনে ২৯ ওভার খেলে ৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। এই সেশনেই মূলত ৪ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে যায় সাকিবের দল। শেষ পর্যন্ত সোহানকে নিয়ে সাকিব নিজেই আবারও হাল ধরেন। সপ্তম উইকেটে উপহার দেন ১২৩ রানের জুটি। দুজনেই তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। এই জুটিতে ভর করেই দলীয় রান প্রায় আড়াইশ’র কাছাকাছি যায় বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম ইনিংসে লিড থাকায় ক্যারিবীয়দের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮৪ রানের।
ব্যাট হাতে ৬৩ রানের ইনিংস উপহার দেন সাকিব। ৯৯ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ছয়টি বাউন্ডারি। তাঁর সঙ্গে উইকেটে থেকে ৬৪ রান করেন সোহান। ১৪৭ বলে তিনি হাঁকান ১১টি বাউন্ডারি।
বাংলাদেশকে দ্রুত থামাতে বল হাতে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পান কেমার রোচ। ৫৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া তিন উইকেট নেন আলজারি জোসেফ। আর কাইল মায়ার্স নেন দুটি উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৩ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম সেশনে স্কোরবোর্ডে ২৬৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.