পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বাতিল করল রাশিয়া

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক:পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বাতিল করল রাশিয়া। পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এই ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, স্নায়ুযুদ্ধ সময়কার ঐ চুক্তির নিয়ম আর মেনে চলবে না মস্কো। সেইসাথে, এখন থেকে সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মত আধুনিক অস্ত্র তৈরির কাজ শুরুরও ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

তিন দশক আগে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধের সময়, আশঙ্কা তৈরি হয় পারমাণবিক বোমা হামলার। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে, সেসময় ৫শ থেকে ৫ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি না করার সিদ্ধান্ত নেয় উভয় পক্ষ। ১৯৮৭ সালে, ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি, বা আইএনএফে সাক্ষর করে দুই দেশ।

তবে বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, চুক্তি মেনে চলছে না রাশিয়া। এবার নিরাপত্তার স্বার্থে চুক্তি থেকে সরে আসার কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। বলেন, আশ্বাস দেন ছয় মাসের মধ্যে চুক্তি মানার আশ্বাস দিলে, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট সাফ জানালেন স্নায়ুযুদ্ধ সময়কার ঐ চুক্তি আর মেনে চলবে না মস্কো। এমনকি, এখন থেকে আধুনিক অস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করবে রাশিয়া। আলোচনার পথ খোলা রয়েছে উল্লেখ করলেও রাশিয়া আগ বাড়িয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে না বলেও সাফ জানান পুতিন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট এবং ভারসাম্যপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র যখন দ্বিপাক্ষিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি থেকে সরে এসেছে, আমরাও তাই করবো। তারা যেমন অস্ত্রের গবেষণা ও আধুনিকায়ন করছে, আমরাও তাই করবো।

গুরুত্বপূর্ণ আইএনএফ চুক্তি অকার্যকর হলে, নতুন করে রুশ-মার্কিন পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতার আশংকা করছেন বিশ্লেষকরা। সেই সাথে গোটা বিশ্বেই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের উদ্যোগ অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেন তারা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.