পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

 

গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানার কুদ্দুস নগর এলাকায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে নুরুল হক (৫৩) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছ র‌্যাব-১ গাজীপুর ক্যাম্প।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর-১২ থেকে তাকে আটক করা হয়। তার আগে গতকাল সকালে কুদ্দুস নগরের লাবিব ভিলার সপ্তম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে নুরুলের স্ত্রী আছমা আক্তারের (৩৬) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নুরুল হক মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মেঘশিমুল গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। আছমা আক্তার চট্রগ্রাম জেলার হালিশহর থানার দিঘিরপাড়া গ্রামের মোস্তফা মিয়ার মেয়ে। তারা সন্তানসহ কুদ্দুস নগরে ভাড়া থাকতেন।
আজ শুক্রবার গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এ এস এম মাইদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। র‌্যাব জানায়, নুরুল হক তার স্ত্রী আছমা ও ছেলে নাহিদ মিয়া সিয়ামকে (০৮) নিয়ে ভাড়া বাসায় দীর্ঘ চার বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে আছমা পরকীয়া করেন- এ সন্দেহে তার সঙ্গে নুরুলের ঝগড়া হয়। এ সময় তাদের ছেলে ঘুমিয়ে ছিল।
ঝগড়ার একপর্যায়ে আছমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান নুরুল। পরে তিনি বাসার ব্যবস্থাপক জহির উদ্দিনকে ফোন করে আছমার অসুস্থতার কথা বলেন। তিনি জহিরকে তাদের বাসায় যেতে বলেন। নুরুলের বাসায় গিয়ে ঘরের দরজায় বাইরে থেকে বন্ধ দেখেন জহির। এ সময় তিনি আছমার নাম ধরে ডাকাডাকি করেন। পরে ভেতর থেকে আছমা-নুরুলের ছেলে সিয়ামের কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে ঘরের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন তিনি।
এ সময় বিছানায় শোয়া ও গলায় আঘাতের চিহ্নসহ আছমার মরদেহ দেখতে পান জহির। পরে তিনি থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে আছমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় আছমার বাবা মোস্তফা মিয়া নুরুল হককে আসামি করে কোনাবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে র‍্যাব-১ গাজীপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর-১২ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরুল হককে আটক করে। র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুরুল হক তার স্ত্রী আছমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান বলে স্বীকার করেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাজীপুর প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম সাইফুল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.