পত্নীতলায় ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: নওগাঁর পত্নীতলায় ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে মুখে হাসির ছাপ।আনন্দের সাথে পত্নীতলার ৫নং মাটিন্দর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠ এলাকা জুড়ে চলছে আমন ধান কাটা ও মাড়াই।স্বস্তি নিয়ে সাথেই চলছে ধান কাটানো ও মাড়াই এর কাজ।

পত্নীতলার শিবপুর গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ১০ বিঘা জমিতে ব্রি ৪৯ জাতের ধানের দাম পেয়ে খুশি। প্রতি বিঘায় ধান চাষ করেছেন প্রতি বিঘায় হয়েছে ১৫ মন থেকে ১৮ মন পর্যন্ত ধানের উৎপাদন হচ্ছে। আর হাট বাজারে বিত্রি হচ্ছে ৭৫০থেকে ৮০০ টাকায়।

সুরহট্রির গ্রামের কৃষক মোসলেম উদ্দীন জানান, প্রতি বিঘায় উৎপাদিত ধান ও খড় (আউড়) বিত্রি করে আয় হয়েছে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থ্যাৎ ধান চাষ করে ১বিঘায় লাভ হয়েছে ১৪ হাজার ৬০০ টাকা।

পত্নীতলার উপজেলার ৫নং মাটিন্দর ইউনিয়নের সুরহট্রি দরগাঁপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ সাদেক মন্ডল জানান, আমার ৯ বিঘা জমিতে স্বর্না ও ব্রি-৪৯ জাতের চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ৭ হাজার টাকা। ১০ বিঘা জমির ব্রি-৪৯ ধানকাটা মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি বিঘায় উৎপাদন হয়েছে ১৭ মন।

উপজেলার ৫ নং মাটিন্দর ইউনিয়নের দক্ষিন রামপুর গ্রামের কৃষক মোঃ খাদেমুল ০৪ বিঘা জমিতে ব্রি-৪৯ জাতের ধান চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। পন ধান ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছে। ধানকাটা মাড়াই শেষে জমিতে সরিষা, গম ও আলু চাষ করবেন বলে জানান তিনি। পত্নীতলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন ব্রি-৪৯ জাতের ধানের জীবনকাল ১৩৫ দিন হলেও ২৫ দিন আগেই ধানের উৎপাদন পাওয়া যাচ্ছে। অন্য জাতের ধান জীবনকালের চেয়ে আগাম ধান পেকে যাওয়ায ভাল ফলনহচ্ছে, ব্রি-৪৯, ফলন হচ্ছে১৬থেকে ১৮মন,ব্রি-৫২ ফলন হচ্ছে ১৫ থেকে ১৭মন,ব্রি-৫৬ফলন হচ্ছে ১৫থেকে১৭মন, বিনা-৭ ফলন হচ্ছে ১৫থেকে ১৬মন,স্বর্না ১৫থেকে ১৭ মন এবং ভারতীয় জাত হুটরা ফলন হচ্ছে ১৬থেকে ১৮মন এসব জাতের চাল সুস্বাদু ও চিকন হওয়ায় হাটে বাজারে চাহিদা রয়েছে বেশি। কৃষকরা জানান, ধানের বাদামী ফড়ীং আত্রুমনের সাথে সাথে কৃষি সম্পসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুয়ায়ী কীটনাশক স্প্রে করে নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রতি বিঘায় ২ থেকে ৩মন ধান উৎপাদন কম হচ্ছে। এ ইউনিয়নের একজন কৃষক বলেন অধিকাংশ জমিরই ৮০ ভাগ আমান ধান পেকে গেছে। এসব ধান এখনই কাটা মাড়াই শুরু করতে হবে কৃষকদের। আবহাওয়ায় অনুকূলে থাকায় এবং সময়মত সেচ সার জমিতে দেওয়ায় পোকা রোগ বালাই কম হয়েছে এতে করে ধানের ফলন ভাল হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পত্নীতলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সূত্রমতে, চলতি মৌসুমে পত্নীতলা উপজেলায় ২৬ হাজার ১শত ৭৫ হেষ্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১৬ মন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ব্রি৪, ব্রি-৫১,ব্রি-৫৬ বিনা-৭,স্বর্না ও ভারতীয় জাতের হুটরা ধান চাষ হয়েছে বেশি। এর মধ্যে স্বর্নাজাতের চাষ হয়েছে ১৫ হাজার।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি আমানুল্লাহ আমান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.