নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের মানুষ বিগত সতের বছরে খুন, গুম ও গায়েবী মামলার নাম শিখেছে। আরো শিখেছে মেগা প্রকল্প বানিয়ে কিভাবে কোটি কোটি লোপাট করা যায় এবং দিনের ভোট রাতে কিভাবে নেয়া যায়। আরো শিখেছে আমি ও ডামি নির্বাচন এবং নিলর্জ দলীয় করণ মেগা প্রকল্প ও কুইক রেন্টালেল নামে পতিত সরকারের সকল দোসর, আমলা ও আইনশৃংখলাবাহিনীর বেশকিছু সদস্য সতের বছরে প্রায় চৌদ্দ লক্ষ টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণ সচেতনা মূলক প্রচারণায় আসন্ন ক্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন প্রস্তুতি গ্রহনের লক্ষ্যে ৯ নং পারিলা ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিএনপি জতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পূনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, খুনি হাসিনা দেশের অবস্থা এতটাই খারাপ করছিলো, মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পরেছিলো। অতিষ্ট হয়ে ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে খুনি হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করে। এরপর দেশের সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা আওয়ামীলীগের আরো সাড়ে ছয়শত জন নেতাকে দেশের বাহিরে যেতে সহায়তা করেছে। সে সময় হাসিনা নিজের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের কথা ছাড়া কারো চিন্তা করেননি। নেতাকর্মীদের সবাইকে ফেলে রেখে দেশের বাহিরে চলে গেছে। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে শত চেষ্টা করেও দেশ থেকে বাহির করতে পারেনি।
মিলন আরো বলেন, বেগম জিয়া তিনটি আসনে নির্বাচন করবেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেন রহমার বগুড়া থেকে নির্বাচন করবেন। তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহত দল। এই দলে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আশা করেছিলেন। কিন্তু দলতো একজনকেই মনোনয়ন দেবে। দিয়েছে তাই। এজন্য যারা মনোনয়ন পাননি তাদের বিরুদ্ধে বা তার সঙ্গে যারা ছিলেন তাদেরকে কোন প্রকার কটুক্তি করা যাবেনা। কারণ তারা সবাই ধানের শীষের কান্ডারী ও প্রচারক।
তিনি বলেন এই পবা-মোহনপুরে তার সিনিয়র ও জুনিয়র অনেকেই মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে মনোননয় দিয়েছে। তার মানে এইনা। তা যোগ্য নয়। তারাও যোগ্য। কারন ঐ ব্যক্তিগুলো বিএনপির লোক বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি সবাইকে নিয়ে পবা-মোহনপুরের উন্নয়ন করতে চান। মিলন বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে পবা-মোহনপুরের সকল রাস্তাঘাট, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান,অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। সেইসাথে কৃষিখাতে উন্নয়নের জন্য কৃষিকার্ড এবং বাড়ির মা-বোনদের জন্য পারিবারিক কার্ড তৈরী করে দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। জামায়াতে ইসলাম নামে একটি দলের নেতারা একবার বলছে পিআর পদ্ধতি না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেনা, আবার বলছে সংস্কার শেষ না হলে নির্বাচনে যাবেনা। এখন আবার আটদফা দিয়েছে বলে জানান তিনি। ঐ দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহন নাই করে তাহলে ছয়মাস পুর্বে থেকে সকল প্রার্থীর মনোনয়ন কেন দিলো। আবার ঘরে ঘরে যেয়ে কেন বেহেস্তের টিকিট বিক্রি করছে। এই মোনাফেক দল থেকে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
পারিলা ইউনিয়ন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বজলুর রশিদ (বাবলু) এর সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম (রবি) সঞ্চালনায় বিশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক ও যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ। এছাড়াও বিএনপি অঙ্গ সহযোগি সংগটনের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। #

















