পঞ্চগড়ে ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে 

প্রতীকী ছবি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে ধর্মের অনুভূতি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বোদা উপজেলার সাকোয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের বরাবরে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনজন ছাত্রী।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,প্রধান শিক্ষক ফরমপুরনের টাকা আত্মসাত,শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম,জাল সনদে এমপিওভুক্ত নিয়ে বেশ কয়েকবার সংবাদ প্রকাশ হলে আমি তথ্য ফাঁস করেছি বলে অভিযুক্ত করে এবং আমার স্ত্রী শিক্ষক ও আমি সভাপতি আমজানি পাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সম্প্রতি এমপিও ভুক্ত হওয়ায় অর্থসহ মোবাইল ফোন দাবী করেন সুজা। দিতে অস্বীকার করায় ওই ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে অভিযোগ করিয়ে নেন।
এবিষয়ে ওই দিনেই স্থানীয় চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান, মুসলিম উম্মাহর কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব সেলিম, গণ্যমান্য ব্যক্তি ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের কাছে শুনে রোববার পর্যন্ত সময় নেয়।
সিদ্ধান্ত অপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় প্রধান শিক্ষকের মামা শশুর আব্দুল জব্বার মুসলিম উম্মাহর ডাকে শুক্রবার জুমুয়ার নামায শেষে বোরকা ও হিজাব পড়া নিষেধ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। পরে পুলিশ প্রশাসন সময় নেয়ায় বন্ধ থাকে।
এর আগে তিনজন ছাত্রী অভিযোগ দায়ের করে, ২৫ জুলাই বিদ্যালয়ে হিজাব পড়ে গেলে ক্লাসে শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম তাদেরকে হিজাব পড়ার কারনে অসৌজন্যমুলক আচরন করে, ক্লাসের বিষয় বাদে অন্যকোন ব্যক্তিগত ও দলীয় আলোচনা করে। উল্লেখ আছে এর আগেও হিজাব পড়ার বিষয় ওই শিক্ষক একই আচরন করে ছাত্রীদের সাথে।
সরেজমিনে, প্রত্যক্ষদর্শি রেজওয়ান আহমেদ লিয়নসহ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী জানান,ক্লাসে বোরকা,হিজাব পড়া বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি,চিনতে না পারায় স্যার শুধু তাদের এক পাশে বসতে বলেছেন।
এদিকে সদ্য এমপিও হওয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুব আলম ও সাকোয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক সায়েদ মঞ্জুরুল হাসান সুজার কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড প্রতিনিধির হাতে আছে সেখানে উল্লেখ করে সুজা বলেন, সভাপতি বুলেটকে মেনেজ করবে তুমরা একটি ৩০-৩৫ হাজার টাকা দিয়ে আমাকে মোবাইল কিনে দিবেন। তাহলে আশরাফুল আলমের বহিষ্কার আদেশ হবে না।দায়িত্ব মুই নিনু কোন কিছু হবেনা, না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েদ মঞ্জুরুল হাসান সুজা জানান,ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি বসার আহবান করা হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাকোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান,রবিবার উভয়কেই নিয়েই আলোচনা করা হবে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.