পঞ্চগড়ে দ্রব্য মূল্যের দাম ঊর্ধ্বগতি বাজার তদারকির দাবী

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে করোনার সাথে পাল্লা দিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসন মরিয়া হয়ে মাঠে কাজ করছে আর সেই সুযোগ হাত ছাড়া করছেনা অসাধু ব্যবসায়ীরা ।

দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে জীবনযাত্রার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। একটি পরিবার কিভাবে তাদের দৈনন্দিন জীবনকে নির্বাহ করবে তা নির্ভর করে তাদের আয়, চাহিদা এবং দ্রব্যমূল্যের ওপর। প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের মূল্য যখন সহনীয় পর্যায়ে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, তখন তাদের জীবন কাটে স্বস্তিতে।

অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যখন সাধারণ মানুষের আর্থিক সঙ্গতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যায়, তখন দরিদ্র এবং অতিদরিদ্র পরিবারে শুরু হয় অশান্তি। একদিকে মহাদূর্যোগ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে দেশজুরে মানুষ যখন ঘরে আবদ্ধ অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনজীবনে নেমে আসে কষ্টের ছায়া।

দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন অন্ন, চাল, ডাল, চিনি , তেল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ইত্যাদি নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি জনজীবনের গতিকে অচল করে তোলে।

আজ শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকালে পঞ্চগড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুন যে পেঁয়াজ বিক্রি হতো প্রতিকেজি ৩০ টাকা এর দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ টাকা।

আলু কেজি ১৪ টাকা দাম বেড়ে ২২ টাকা, রসুন কেজি ৭০ টাকা দাম বেড়ে ১২০ টাকা, আদা কেজি ১২০ টাকা দাম বেড়ে ৩২০ টাকা, ডাল কেজি ৬০ টাকা দাম বেড়ে ৯০ টাকা, চিনি কেজি ৬০ টাকা দাম বেড়ে ৭০ টাকা। খোলাবাজারে চাল বিক্রির ব্যবস্থা থাকলেও প্রধান খাদ্য চালের দাম প্রতি বস্তায় ২ শ থেকে ৪ শ পর্যন্ত বেড়েছে ।

ক্রেতারা বলেন, কিভাবে চলব আমরা? একদিকে লকডাইন অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি। তাই প্রশাসনের কাছে বাজার তদারকির জোর দাবী জানাচ্ছি।

বাজার অস্থিতিশীল হওয়া মানেই বেশির ভাগ মানুষের ওপর চাপ পড়া। তাই প্রশাসনকে কালোবাজারি, মুনাফাখোর, মজুদদার অসাধু ব্যবসায়ীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি দৌরাত্ম্য হ্রাস নিয়ন্ত্রণ জরুরী।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.