পঞ্চগড়ে টানা পোড়নে মধ্যবিত্তদের পরিবার

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের জগদল বাজারে ব্যবসা আছে মাসুদের । ছোট হলেও ভালোই চলে তার (কাপরের দোকান) ব্যবসা । মা-বাবা স্ত্রী, সন্তান ও বোনকে নিয়ে পরিবার মাসুদের। ব্যবসা থেকে যে আয় হয় তাতেই সংসার চলে যায়। কোনো সঞ্চয়-ব্যাংক হিসাব নেই তার।

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা বন্ধ। হাতে কিছু টাকা ছিল তা দিয়ে চলছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে কীভাবে দোকান ঘর ভাড়া দেবেন, কীভাবে সংসার চালাবেন । কিন্তু কাউকে এমন কষ্টের কথা বলতেও পারছেন না। আক্ষেপ করে বলেন, ‘বড় লোকের টাকার অভাব নেই। গরীবরা ত্রাণ পায়। আর মধ্যবিত্তরা না খেয়ে চোখের পানি লুকায়।

কথা হয় আউয়ালের সঙ্গে। ফটোকপির দোকান করে সংসার চালায় সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দোকান বন্ধ সংসার পরিচালনায় কষ্ট হচ্ছে লজ্জায় কষ্টগুলো প্রকাশ করা যায় না। ওই যে আমরা মধ্যবিত্ত।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সারাদেশে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে গৃহবন্দি সাধারণ মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষের হাতে খাবার এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য তুলে দিচ্ছেন অনেকেই। সরকারও গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে মধ্যবিত্তের পাশে নেই কেউ। ঘরে খাবার না থাকলেও মধ্যবিত্তরা লজ্জায় কিছু বলতে পারছে না। পারছেনা মাঠে শ্রমিকের কাজ করতে (কৃষি কাজে দিনমজুর) না পারছে ত্রাণ।

মধ্যবিত্ত থেকে বাদ পড়েনি মফস্বল সাংবাদিকও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মফস্বল সাংবাদিক জানান, করোনাভাইরাসের কারণে অফিসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তার উপার্জন আপাতত বন্ধ। মাস শেষে নির্ধারিত বেতন নেই। তার ভরসা বিজ্ঞাপনের উপর। বিজ্ঞাপনের চেক পাঠিয়েছি অফিস বন্ধ কমিশনের টাকাও পাইনি। কিভাবে সংসার চলবে ভেবে পাচ্ছিনা সবাই গরীবের দিকে মধ্যবিত্ত বা সাংবাদিকের দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মধ্যবিত্তদের নিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন রকম লেখালেখি। আখিমুল ইসলাম (ব্যবসায়ী) নামের ফেসবুক আইডিতে দেখা যায় আবেগময় স্টাটাস।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.