পঞ্চগড়ে হত্যা মামলার অভিযোগে ৭ পরিবার বাড়ি ছাড়া

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় সদর উপজেলার বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের পরিবারসহ তার ছয় ভাইয়ের পরিবারের ২৫ জন কয়েকদিন ধরে বাড়ি ছাড়া হয়েছে।
গত ৮ জুলাই হাড়িভাসা ইউনিয়নের প্রধান পাড়া গ্রামে জমাজমি নিয়ে বিরোধের জেরে সফিকুল ইসলাম গং এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন গং এর সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই পক্ষের আহত হয় ১০ জন। দুই জনের অবস্থা আশংকা জনক হলে প্রথমে ঠাকুরগাঁও, পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শামীম (২৮)।
এ ঘটনায় সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনসহ তার ছেলে ও ভাইদের নামে আদালতে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আবুল হোসেনসহ পাঁচজনকে আটক করে।
নিহতের ঘটনা শুনে কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। সেই থেকে পরিবার নিয়ে বাড়িছাড়া হয়ে আছেন,খাজা নাজিম উদ্দিন, শুকুরু মহাম্মদসহ সাত পরিবার। মানুষ গ্রাম ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়ে আছেন। ভয়ে তাঁরা গ্রামে ফিরতে পারছেন না বলে দাবি তাঁদের।
স্থানীয়রা জানান, আবুল হোসেন দীর্ঘদিন যাবত বিবাদীয় জমি ভোগ দখলে ছিল, ঘটনার দিন সকালে খাজা নাজিম উদ্দীন, আঃ রশিদ, জহর আলী সহ কয়েকজন আমন ধানের চারা রোপন করছিল, এসময় সামিউল, শামিম,রাকিব সহ কয়েকজন বাধা দিতে গেলে তর্কবিতর্ক এক পর্যায়ে মারপিট হয়। ঘটনার সময় আবুল হোসেন ও তার ছেলে ময়নদ্দীন সম্রাট ঘটনাস্থলে ছিল না বলেও জানায়।
জোহর আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম জানান, আমার বাড়িতে গভীর রাতে ভাংচুর করে, সোকেশ ভেঙ্গে মুল্যবান দলিল পত্র টাকা পয়সা লুটপাট করেছে সফিউল ইসলামের লোকজন।
হত্যা মামলার বাদির ভাই আঃ সামাদ বলেন, তারা জোর করে আমাদের জমিতে রোপা লাগাচ্ছিল আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের কে মারপিট করে, তাদের আঘাতে শামিম রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আমরা উচিত বিচার চাই।
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো.আক্কেল আলী, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যা ও মারপিটের ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.