পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স বোদা উপজেলা অফিসের ডিজিএম (ইনচার্জ) মো.হাসান আলী ও সাকোয়া অফিসের এজিএম উন্নয়ন মাহমুদা আক্তার কলির অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে ভাঙতে বসেছে পরিবারটির সংসার।
এরই মধ্যে মাহমুদা তার স্বামী সন্তান রেখে চলে গেছে পিতার বাড়ি। স্বামী প্রতিবাদ করায় তাকে হুমকীসহ তার কাছে নয় লাখ টাকা দাবী করছেন অভিযোগ পরিবারের।
যদিও অভিযুক্ত হাসান আলী বলেন, মাহমুদার সাথে অফিস সম্পর্কের বাইরে আর কোন সম্পর্ক নাই।
জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে বোদা মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত গোলাপ আলীর ছেলে আশরাফুল একই উপজেলার সরকার পাড়া এলাকার মৃত আরিফুল ইসলামের মেয়ে মাহমুদা আক্তার কলি বিয়ে হয়। তাদের ঔরশে দুই ছেলে এক মেয়ে।
তাদের কথা চিন্তা করে আশরাফুল ঢাকায় গিয়ে চাকুরি করে। মাহমুদা আক্তার সন্ধানী লাইফে কাজ করে। স্বামী প্রতিমাসে ৪০ হাজার টাকা স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেয় জমানোর জন্য। স্বামী বাসায় না থাকার সুযোগে স্ত্রী মাহমুদা সন্ধানী লাইফ বোদা অফিসের ডিজিএম হাসানের সাথে পরকীয়ায় জরিয়ে পড়ে।
হাসান ঠাকুরগাঁও মুন্সিপাড়া সাক্ষীপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে তারও স্ত্রী সন্তান রয়েছে। এর আগে আরো দুই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তৃতীয় স্ত্রী নিয়ে সংসার করছেন। বর্তমানে পরকীয়ার সম্পর্কে দুই পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মাহমুদা বাড়িতে থাকলে দিনাতিতে প্রায় হাসান চলে আসতেন।কোন ভাল রান্না হলেও চলে আসে হাসান।দীর্ঘদিন এভাবে আসা যাওয়া করে। আশরাফুলের গৃহকর্মী নুরজাহান ও আর্জিনা মাহমুদা ও হাসানকে একাধিকবার অনৈতিক কাজের সময় দেখেছেন। কিন্তু ভয় ও ইজ্জতের কথা চিন্তা করে কাউকে কিছু বলেননি তারা।
মাহমুদার ছোট ছেলে হাফেজ আবু বক্কর সিদ্দিক মাহিম বলেন, নিজের মায়ের কথা কি বলব।ভাল করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু লাভ নাই।আমি বাড়িতে থাকতে হাসান যখন তখন আসে মায়ের ঘরে ঘন্টার পর ঘন্টা থাকে। অফির ট্যুরে কক্সবাজার গেছিল আমিও ছিলাম। সেখানে আম্মু তাদের বিভাগীয় বসের সাথে ছবি তুলতে গেছিল। পরে রুমে আসে মাকে হাসান অনেক মারপিট করে।
আশরাফুল আলম বলেন, সংসারের জন্য বাইরে চাকুরি করতে গিয়ে এখন সেই সংসার থাকে না। কয়েক বছর প্রতিমাসে ৪০-৫০ হাজার টাকা দিয়ে পাঠিয়েছি।স্ত্রীর নামে কৃষি জমি ৫০ শতক, বোদা বাজারে তিন শতক জমি ক্রয় করা হয়েছে।তারপরও স্ত্রী পরকীয়ায় জরিয়ে আমার পাঠানো টাকার কোন হিসেব নাই। ডিপিএস ছিল তার টাকা প্রায় দুই লাখের বেশি উত্তোলন করে।মেয়ে বিয়ে দিব তার জন্য জমি বিক্রি করি সাত লাখ, সে টাকা তার হিসাব নম্বরে ছিল। সেখানকার টাকার হিসাব নাই, জমি বন্ধক দিছি সেটাকাও নাই। আমি বাজার করতে গেছি ৯ এপ্রিল ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়।এখন বাড়িতে আসবে নয় লাখ টাকা চায় তার ধারদেনা আছে পরিশোধ করবে।
মাহমুদা আক্তার কলির সাকোয়া অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে বার বার কল দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড পঞ্চগড় জেলা শাখার নির্বাহী জিএম উন্নয়ন রফিকুল ইসলাম, মুঠোফোনে সংবাদকর্মীর পরিচয় পেয়েই ব্যস্ত দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.