পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীর মুখে টুপি গুঁজে মারপিট, মামলা করায় শিক্ষকের হুমকি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থীর মুখে টুপি গুঁজে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। এ অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর, বাদীর পরিবারকে হুমকি দিয়েছে ওই শিক্ষক। তবে মামলার পর পলাতক রয়েছে ওই শিক্ষক।
গত বুধবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের লিচুতলা এলাকার আত-তাক্বওয়া ওয়াস্সুন্নাহ হিফজ্ মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর হাফেজ মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ সুমন (৪০) কে বিবাদী করে, পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা দায়ের করে কামাত পাড়া এলাকার জাবেদ আলীর ছেলে বেলাল হোসেন। হাফেজ আসাদ বোদা ময়দানদিঘী গাইঘাটা এলাকার তছিরুল ইসলামের ছেলে এবং ইসলামবাগ লিচুতলা এলাকার আত-তাকওয়া ওয়াসসুন্নাহ হিফজ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
জানা যায়, বেলাল হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন নাসির (১৩) জেলা শহরের লিচুতলা এলাকার আত-তাক্বওয়া ওয়াস্সুন্নাহ হিফজ্ মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী। জোহরের নামাজে ফরজ শেষে সুন্নত না পড়ায় বেতের লাঠি দিয়ে মুখে, বুকে, শরীরে বেধড়ক মারপিট করে। বেত্রাঘাত হাত দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে, আবারও ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে মুখে টুপি গলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই মাদ্রাসা শিক্ষক। এতে মাদ্রাসা ছাত্রের মুখের তালু কয়েক স্থানে ছিলে যায়। তবুও ক্ষান্ত না হয়ে কয়েকজন ছাত্র ওই ছাত্রের দুই হাত ধরে থাকেন আর হুজুর দুই হাত, ঘাড়, গলাসহ কোমরের নিচে বেধড়ক মারধর করে ঘরে আটকিয়ে রাখে। সন্ধায় দরজা খোলা পেয়ে পালিয়ে পিতার কাছে যায়।পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগেও আরো কয়েকবার মারপিটের শিকার হয়ে পালিয়ে বাড়িতে যায়।
মামলার বাদি বেলাল হোসেন বলেন,মামলা করার পর আসামী মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে বলে,বেশী বাড়াবাড়ি করবেননা। আমার কিছু করতে পারবেন না। এদিকে পুলিশ আসামি ধরতে টালবাহানা করছে। আসামী খুঁজে দিলে আটক করার কথা জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।বিচার কি আমরা পাবোনা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো.আজিজুল হক বলেন, তদন্ত চলছে,একই সাথে আসামী আটকের জন্য ট্র্যাকিং করছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.