পঞ্চগড় প্রতিনিধি:পঞ্চগড় সদরে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় কাবুল ওরফে শহীদুল ইসলাম ও নাজমুল হুদা নামে দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাদের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রোববার (২ জুন) বিকেলে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক বিএম তারিকুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, অমরখানা ইউনিয়নের নিমাইপাড়া বোর্ডঅফিস গ্রামের আফাজ উদ্দীনের ছেলে কাবুল ওরফে শহীদুল ইসলাম (৩৫) ও একই ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামের জহির উদ্দীনের ছেলে নাজমুল হুদা (৩৮)।
এ ছাড়া মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঢাংগীপুকুরি গ্রামের সমির উদ্দীনের ছেলে রবিউল ইসলাম (৫২) ও একই ইউনিয়নের ব্রম্মতল গ্রামের ওসমান আলী ওরফে ফেনডেরার ছেলে কাবুল হোসেন (৩৮)।
আদালত ও মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ৪ সেপ্টেম্বর তরুণী নুরিনা বেগম ভাই মজির উদ্দীনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর হাফিজাবাদ ফুলপাড়া গ্রামে রোকেয়া বেগম নামে আরেক বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন নুরিনা। এ দিকে তাকে না পেয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে অমরখানা ইউপির প্রধানপাড়া গ্রামে শালমারা গড়ের ইউক্লিপটার্স ও আকাশ মনি বাগানে জঙ্গলের ভিতরে এক তরুণীর গলিত মরদেহ মাটিতে পাড়ে থাকতে দেখেন স্থানীরা।
পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মজির উদ্দীন ও পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নুরিনাকে শনাক্ত করেন। ওইদিন রাতে মজির উদ্দীন বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে ২০১৬ সালে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে তাদের গ্রেফতার করে।
দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও জবানবন্দি শেষে ৯ বছরের মাথায় আজ বিকেলে আদালত দুজনকে অব্যাহতি দিয়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু সাঈদ বিটিসি নিউজকে বলেন, আদালতের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। ন্যায় বিচার পেতে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.