পঞ্চগড়ে চাকরির প্রলোভনে দপ্তরীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি পদে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক দপ্তরির বিরুদ্ধে। তার নাম পরেশ চন্দ্র রায়।
তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার গলেহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী হিসেবে কর্মরত আছেন। এমন প্রতারণার ঘটনা জানাজানি হলে পুরো এলাকাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রাইমারী স্কুলের দপ্তরি কাম প্রহরী পদে চাকরি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন পরেশ চন্দ্র রায় কিন্ত তাদের কারো চাকুরী হয়নি।
এখন ঐ টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করছেন তিনি। কোন প্রার্থীকে আবার জাল নিয়োগপত্রও  দিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বস্তন কর্মকর্তা তার আত্মীয় হয় এবং তিনি চাকরি দিতে পারবেন এমন নিশ্চয়তা দেন পরেশ চন্দ্র।
বোয়ালমারী এলাকার টলেন বলেন, তার বউয়ের ছোট ভাইয়ের চাকরির জন্য পরেশ চন্দ্রকে দুই দফায় ৭ লাখ ৫৫ হাজার দিয়েছেন। বিনিময়ে পেয়েছেন ইমএক্স ম্যানপাওয়ার রিত্রুুইটিং এজেন্সী বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সিরাজগঞ্জ ৪ আসনের এমপি তানভীর ইমামের স্বাক্ষরিত, দপ্তরী কাম প্রহরী পদে স্থায়ী প্রকল্পে ৭৮ নং কাজলদীঘি কালিয়াগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের নিয়োগপত্র। পরে গৌরাঙ্গ যোগদান করতে গেলে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে বলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন ।
কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের পলাশ চন্দ্র ও ধনেশ চন্দ্র রায়ের কাছে চাকরি দেওয়ার নামে এক লাখ করে টাকা নেন। এদিকে শহিদুল তার ছেলে নুরজামালের জন্য ও খতিবর রহমান তার ছেলে নয়নের জন্য। সাত লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে দেন। কিন্তু চাকরি হয় নাই। এখন বার বার সময় নিয়েও টাকা দিচ্ছেন না পরেশ চন্দ্র।
তাদের সাথে প্রতারণা করেছে বলে জানতে পেরে, টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি গড়িমসি শুরু করেন। পরে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য একাধিক দিন তারিখ দিলেও এখন পর্যন্ত কারো টাকা বুঝিয়ে দেননি এই দপ্তরি ।
তিনজনের কাছে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত পরেশ চন্দ্র রায় বিটিসি নিউজকে বলেন, আমি টাকা নিয়ে আনিসুর রহমান নামের এক শিক্ষককে দিয়েছি  তিনি ঠাকুরগাঁও উপজেলার কোন এক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। আমি সবার টাকা ফেরত দিয়ে দেব। এ নিয়ে আর কথা না বাড়াবাড়ি করতে অনুরোধ করেন পরেশ চন্দ্র।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোসলিম উদ্দিন শাহ বিটিসি নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা যদি ভুক্তোভুগীরা আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসে, তবে অবশ্যই তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.