পঞ্চগড়ে ইঞ্জিনিয়ারকে আটকে রেখে চেক লিখে নেয়ার অভিযোগ

 

ফাইল ছবি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি: সুপ্রিম টি কোম্পানির হিসাব নিয়ে গড়মিল করার অভিযোগে ওয়াসিমুল বারী নামে এক সাইট ইঞ্জিনিয়ারকে চারদিন ধরে আটকে রেখে সাড়ে নয় লাখ ও ১২ লাখ টাকার চেকসহ স্ট্যাম্প লিখে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কারখানার পরিচালক আনোয়ার হোসেন ও সিকিউরিটি ইনচার্জ জব্বারের বিরুদ্ধে।
পরে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। চাকুরি হারিয়ে টাকা পয়সা দিয়ে দিশেহারা ওয়াসিমুল বারী আতঙ্কে রয়েছেন মামলায়।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে)সকাল থেকে আটকে রেখে রোববার (২৮ মে) রাত ১১ টার দিকে পুলিশে দেয় তাকে।ওয়াসিল বারী কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী গোবদ্ধন গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। ২৯ মে পুলিশ বাদী হয়ে ১৫১ ধারা দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেন তাকে।
জানা যায়,পঞ্চগড় সদর উপজেলার চোপড়াভিটা এলাকায় সুপ্রিম টি লিমিটেড নির্মাণাধীন প্রকল্পে সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ২০২০ সাল থেকে চাকুরী করেন ওয়াসিমুল বারী। কাজ করা শ্রমিকদের বিল প্রতি সপ্তাহে পরিশোধ করতেন তিনি।
গত কয়েকমাস আগে প্রকল্পে ১০ শতাংশ শেয়ারের পরিচালক আনোয়ার হোসেন তার ছোট ভাই  আহসান হাবীবকে নিয়ে আসে একই কাজের জন্য।
ওয়াসিমুল বারী অভিযোগ করে বিটিসি নিউজকে বলেন, ছোট ভাইকে প্রতিষ্ঠা করতে আনোয়ার হোসেন, বিনিয়োগ বোর্ডে কাগজ পাঠানোর নামে কয়েকমাসের শ্রমিক বিলের নতুন কপিতে সাক্ষর করে নেয়। সেই কপিতে হিসাব দেখায় ৮০ লাখ টাকা,৫৯ লাখ টাকার হিসাব ঠিকঠাক থাকলেও গড়মিল করে ৮ মাসে প্রায় ২১ লাখ টাকার। সেটা আমার উপর চাপিয়ে দিয়ে ঘরে চারদিন ধরে আটকে রেখে দুইটি চেকের পাতার মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা,একটি মোটরসাইকেল ২ লাখ ৯০ হাজার ও দুই মাসের বেতন ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আবার দুই চেকের পাতা ১২ লাখ টাকা উল্লেখ করে সাক্ষর করে নেয়।
সুপ্রিম টি লিমিটেডের পরিচালক আনোয়ার হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, আট মাসে প্রায় ২১ লাখ টাকা শ্রমিকের বিল বেশি নিয়েছে।তাই তার কাছ থেকে চেকের পাতা,মোটরসাইকেল, স্ট্যাম্প লিখে নিয়েছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.