নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে লাশ দাফনের চার মাস পরে উত্তোলন করল প্রশাসন 

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের একটি হোমিও দোকান থেকে স্পিরিট পান করে ৬ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই ৪ জনের লাশ দাফন করা হয়। আদালতের নির্দেশে দাফনের ৩ মাস ২৪ দিন পর ২ জনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারী) দুপুর থেকে বিকাল নাগাদ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের ফয়েজ আহম্মদের ছেলে মহিন উদ্দিন (৪০) ও একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত রইসুল হকের ছেলে সবুজ (৪৫) এর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকনুজ্জামান খান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই (নিঃ) আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে লাশ দু’টি তুলে সুরতহাল তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, অপর দু’জন চরকাঁকড়া গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক (৭০), বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে রাইটার ওমর ফারুক লিটন (৫০) এর লাশ মঙ্গলবার কবর থেকে উত্তোলন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট্র সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এর আগে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নোয়াখালীর আদালত গত ২৭ নভেম্বর মৃতদেহগুলো কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করার জন্য আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে বসুরহাট পৌরসভার ‘রফিক হোমিও হল’ থেকে রেকটিফায়েড স্পিরিট ক্রয় করে (নেশা হিসেবে) পান করেন নুরনবী মানিক, ওমর ফারুক লিটন, রবি লাল দে, মোঃ সবুজ, মহিন উদ্দিন ড্রাইভার ও আবদুল খালেক।
নুরনবী মানিক ও রবি লাল দে’র লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন ও সৎকার করা হয়েছিল। অপর ৪ জনের ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করায় আদালতের নির্দেশে তাদের লাশ তোলার বিষয়ে নোয়াখালীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ দিয়েছেন।
স্পিরিট পানে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত রফিক হোমিও হলের মালিক কথিত হোমিও ডাক্তার সৈয়দ জাহেদ উল্যাহ ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়ম নোয়াখালী কারাগারে আটক রয়েছেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.