নোয়াখালীতে হোমিওপ্যাথি ওষুধের স্পিরিট খেয়ে ৬ জনের মৃত্যু

নোয়াখালী প্রতিনিধি:  নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে হোমিওপ্যাথি ওষুধের স্পিরিট খেয়ে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। আরো অন্তত ছয়জন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

এই ঘটনা গতকাল শুক্রবার (২৭সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আজ শনিবার ভোররাত পর্যন্ত বসুরহাট পান বাজার সংলগ্ন রফিক হোমিও হলের স্পিরিট পান করে একে একে তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চারজনকে আশংকাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড বাঁশ ব্যাপারী বাড়ির মৃত এছাক মিয়ার ছেলে নুরনবী মানিক (৫২), একই এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে লিটন (৫০), খিরুদ মহাজন বাড়ির মৃত অনিল কুমার দের ছেলে রবি লাল (৫৫), সিরাজপুর ৫নং ওয়ার্ডের মতলব মিয়ার বাড়ির মৃত রইসল হকের ছেলে সবুজ (৪৫), একই এলাকার ২নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ নগর এলাকার মহিন উদ্দিন ড্রাইভার (৪০) ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে আবদুল খালেক (৬৫)।

এদিকে স্পিরিট বিক্রির অভিযোগে রফিক হোমিও হলের মালিক ডা. জায়েদ ও তার ছেলে প্রিয়মকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, আজ শুক্রবার সকালে স্পিরিট পান করে আবদুল খালেক, সবুজ ও মহিন উদ্দিনের মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যরা তাদের দাফন সম্পন্ন করেন।

অপরদিকে নুরনবী মানিক, রবি লাল ও লিটন স্পিরিট পান করে অসুস্থ হয়ে শুক্রবার রাতে মারা গেলে পুলিশের খবর দেয়া হয়। পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হোমিও ব্যবসায়ী জাহিদ ও তার ছেলে প্রিয়ম দীর্ঘদিন ধরে স্পিরিটসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করে আসছেন। আগের মতোই মাদকসেবীরা তাদের কাছ থেকে স্পিরিট নেশার জন্য নিয়ে সেবন করেছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের বাড়ি পরিদর্শন করেছে। তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। পুলিশে খবর দেয়ার আগেই তিনজনের দাফন সম্পন্ন করেছে তাদের পরিবার। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.