নেপালে ভূমিধসে নিখোঁজ ৬৩ জনের সন্ধান এখনও মেলেনি

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালি ভূমিধসে নিখোঁজ কমপক্ষে ৬৩ জনের সন্ধান এখনও মেলেনি। উদ্ধারকারী দলগুলো শনিবার পুনরায় অনুসন্ধান শুরু করেছে। দুর্ঘটনায় মহাসড়ক থেকে দুটি বাস ছিটকে পড়ে এবং একটি নদীতে ভেসে যায়।
চিতওয়ান জেলার মধ্যাঞ্চলে শুক্রবারের ভূমিধসের কংক্রিটের সড়ক ডিভাইডার উপর দিয়ে যানবাহনগুলো ছিটকে পড়ে এবং রাস্তা থেকে কমপক্ষে ৩০ মিটার নিচে পড়ে যায়।
কয়েক ডজন উদ্ধারকারী ত্রিশূলী নদীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছে। নদীর ঘোলা পানি এবং প্রচন্ড স্রোতের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এতে সূর্যাস্তের আগে তারা উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল।
যানবাহন বা আরোহীর কোনো চিহ্ন এখনও পাওয়া যায়নি।
চিতওয়ান জেলা প্রধান ইন্দ্রদেব যাদব এএফপি’কে বলেছেন, ‘আমরা সম্ভাব্য সব জায়গায় তল্লাশী চালাবো।’ তিনি বলেন, ‘পানির স্তর, স্রোত এবং পানির গভীরতা সত্ত্বেও আমরা অনুসন্ধান এবং উদ্ধারের জন্য আমাদের সমস্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করব।’

শুক্রবার জেলা কর্মকর্তা খিমানন্দ ভুসাল এএফপি’কে বলেছেন, বাসগুলো কমপক্ষে ৬৬ জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। তবে তিনজন যাত্রী বাস থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১শ’ কিলোমিটার পশ্চিমে নারায়ণঘাট-মুগলিং হাইওয়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।ৎ একটি বাস রাজধানী থেকে দক্ষিণ নেপালের রাউতাহাট জেলার গৌড়ের দিকে যাচ্ছিল এবং অন্যটি দক্ষিণ বীরগঞ্জ থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল।
একই সড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় বাসের ধাক্কায় এক চালক নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
খারাপভাবে নির্মিত রাস্তা, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে নেপালে প্রায়ই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, এক বছরে নেপালের প্রায় ২,৪০০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। জানুয়ারিতে নেপালগঞ্জ থেকে কাঠমান্ডুগামী একটি বাস নদীতে পড়ে দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়।
বর্ষা মৌসুমে সড়ক ভ্রমণ মারাত্মক হয়ে ওঠে কারণ, বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি দেশ জুড়ে ভূমিধস এবং বন্যা হয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.