নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন ও ভারত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন ও ভারত নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশিলা কার্কির দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে।
রোববার কাঠমান্ডুস্থ মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল ও তরুণ নেতৃত্বকে গণতান্ত্রিক সমাধানের প্রতি অঙ্গীকারের জন্য প্রশংসা জানায় এবং প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করে।
মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, নেপালি সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলের ভূমিকা দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও বেসামরিক সরকারের শান্তিপূর্ণ রূপান্তর নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রোববার সুশিলা কার্কিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, চীন ও নেপালের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব রয়েছে। নেপালের জনগণ যে উন্নয়নের পথ স্বাধীনভাবে বেছে নিয়েছে, চীন তা সবসময় শ্রদ্ধা করে। আমরা পাঁচ নীতির ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান জোরদার, নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে নেপালের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
এছাড়া যুক্তরাজ্যও কার্কির দায়িত্ব গ্রহণকে ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে কাঠমান্ডুস্থ ব্রিটিশ দূতাবাস জানায়, ‌‘আরটি. অন. সুশিলা কার্কির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ এ সপ্তাহের ঘটনার পর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নেপালের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে আমরা সামনের চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করি এবং জবাবদিহিমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার প্রতি নেপালি জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট করে কার্কিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‌‘নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আরটি অন সুশিলা কার্কিকে শুভেচ্ছা। ভারত নেপালের জনগণের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ভারতের পক্ষ থেকে এটি ছিলো নেপাল পরিস্থিতিতে প্রথম প্রতিক্রিয়া।
সুশিলা কার্কি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। গত শুক্রবার রাতে শীতল নিবাসে শপথ নেওয়া এই অন্তর্বর্তী সরকারকে ছয় মাসের মধ্যে নতুন সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.