নেপালী পুলিশের গুলিতে ১ ভারতীয় নিহত, আহত ২ : ১ ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গেছে

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের বিহার সীমান্তে নেপালের পুলিশের গুলিতে ১ ভারতীয় নিহত হয়েছেন। এতে আরও অন্তত ২ জন আহত হয়েছেন। একই সঙ্গে এক ভারতীয় নাগরিককে ধরে নিয়ে যায় নেপালের আমর্ড পুলিশ ফোর্স (এপিএফ)। এনিয়ে সীমান্তে এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর দ্য হিন্দু, দ্যা হিমালিয়ন টাইমস ও কাঠমুন্ডু পোস্ট’র

আজ শুক্রবার (১২ জুন) বিহারের সিতামারি জেলার সীমান্তে এ ঘটনা ঘটেছে। সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঘটনাটি নেপালের অভ্যন্তরে হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উভয় পাশে স্থানীয় কমান্ডাররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত ভারতীয়ের নাম বিকাশ কুমার রায় (২৫)। আহতরা হলেন, উমেশ রাম ও উদয় ঠাকুর।

এছাড়া নেপালী পুলিশের হাতে আটক ব্যক্তির নাম লগন রায়। নেপালের লালবান্দি-জানকি নগর সীমান্তের কাছে কৃষি ক্ষেতে কাজ করার সময় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের পর নেপালী পুলিশ বাহিনী গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই বিকাশ কুমার রায় নিহত হন বলে স্থানীয়রা জানা।

এ ঘটনাটি উভয় দেশের সীমান্ত নো ম্যান ল্যান্ড থেকে ৭৫ মিটার দূরে নেপালী ভূখণ্ডে ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে শনিবার পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে পুলিশের স্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

সিতামারি পুলিশ সুপার অনিল কুমার জানান, গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অপর দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিহার সেক্টরের পুলিশের মহাপরিদর্শক সীমা বাল সঞ্চয় কুমার জানান, এই ঘটনা স্থানীয় ও নেপালী পুলিশের মধ্যে হয়েছে। এতে এসএসবি জড়িত ছিল না। সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি একটি ভারতীয় আধা-সামরিক বাহিনী, বর্তমানে ভারত-নেপাল ও ভারত-ভুটান সীমা প্রহরার কাজে নিয়োজিত।

নিহতের বাবা নাগেশ্বর রায় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘নেপালের নারায়ণপুরে তার ছেলে কৃষি জমিতে কাজ করতেন। নেপালের সঙ্গে ভারতের এক হাজার ৮৫০ কিলোমিটার উন্মুক্ত সীমান্ত রয়েছে। এসব সীমান্ত পথে ভারতীয় নাগরিকরা নেপালে জীবিকা ও তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে যাতায়াত করে থাকে।’

বিহারের বেশিরভাগ সীমান্তবর্তী জেলার বসিন্দারা নেপালের সীমান্ত এলাকায় বিয়ে করে থাকেন। করোনা মহামারীর কারণে নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান্ত ২২ মার্চ থেকে বন্ধ করে দিয়েছে।

সীমান্তে উত্তেজনার কারণেই নেপালী সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি চালিয়ে এক ভারতীয় তরুণকে হত্যা করেছে। এতে আরও দুইজন আহত হয়েছেন। তাছাড়া ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গেছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.