নেদারল্যান্ডসে অল্পের জন্য রক্ষা পেল পাকিস্তান

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের চার নম্বর দল পাকিস্তান। সেখানে নেদারল্যান্ডসের অবস্থান ১৪তম। ক্রিকেট ইতিহাস ও শক্তিমত্তায় দুই দলের ব্যবধান যোজন-যোজন।
সদ্য সমাপ্ত দুই দলের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের স্কোরলাইনেও তারই প্রতিফলন রয়েছে। সিরিজটা ৩-০ তেই হেরেছে ডাচরা। তবে এই ফলাফলটা কিন্তু এই সিরিজে ডাচদের লড়াই, কৃতিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে পুরোপুরি ব্যর্থ।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাবর আজমদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল স্বাগতিকরা। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি, হেরে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য সহজেই জয় পায় পাকিস্তান। রোববার তৃতীয় ম্যাচে আবারও পাকিস্তানকে কাঁপিয়ে দেয় ডাচরা। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবেছে তাদের।
জয়ের দারুণ মঞ্চ তৈরি করেছিল দলটি, শুধু অনভিজ্ঞতার কারণে পা হড়কে গেছে তাদের। রোববার রটারডামে ৯ রানের ঘাম ঝরানো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাবর আজমের দল।
আগে ব্যাট করা পাকিস্তানকে ৪৯.৪ ওভারে ২০৬ রানে অলআউট করে দেয় কমলা শিবির। ফখর জামান ২৬, অধিনায়ক বাবর আজম ৯১, আগা সালমান ২৪, মোহাম্মদ নেওয়াজ ২৭ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম ১১ রান করেন।
স্বাগতিকদের পক্ষে বাস ডি লিডে ৩টি, কিংমা ২টি, আরিয়ান দত্ত, শারিজ আহমেদ ও লোগান ভ্যান বিক ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
জবাবে নাসিম শাহ ও ওয়াাসিমের দুর্দান্ত বোলিংয়ের বিপরীতে ৪৯.২ ওভারে ১৯৭ রানে গুটিয়ে যায় ডাচদের স্বপ্নযাত্রা। নাসিম শাহ ৫টি, ওয়াসিম ৪টি উইকেট নিয়েই গুটিয়ে দেন টম কুপারদের।
ওপেনার বিক্রমজিতের হাফ সেঞ্চুরিতে এগুচ্ছিল ডাচদের জয়ের স্বপ্ন। দলের স্কোর একশ পার করে ফেরেন তিনি। ৫০ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। পরে টম কুপারের ব্যাটে আশা দেখছিল স্বাগতিকরা। ৪৬তম ওভারে কুপার আউট হন ৬২ রান করে।
তখনও ২৬ বলে ৩৩ রান দরকার ছিল ডাচদের, হাতে ছিল ৩ উইকেট। কিন্তু নাসিম-ওয়াসিমের পেস তোপে সেই সমীকরণ মেলাতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। মুসা আহমেদ ১১, নিডামানুরু ২৪ রান করেন।
৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন নাসিম শাহ। সিরিজে মোট ১০টি উইকেট নেন তরুণ এই পেসার। অন্যদিকে, ব্যাট হাতে ৭৪ গড়ে ২২২ রান করেন বাবর আজম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.