নেতৃত্ব সংকট : সোনিয়া গান্ধীকে শীর্ষ নেতাদের চিঠি

ফাইল ছবি

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেতৃত্ব সংকট নিয়ে ভারতের কংগ্রেসের ২০ জনেরও বেশী শীর্ষনেতা দলটির বর্তমান সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছেন। আগামীকাল সোমবার (২৪ আগষ্ট) কংগ্রেসের নীতিনির্ধারণী নেতাদের বৈঠক আছে। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চিঠিতে সিনিয়র নেতারা দলের অভ্যন্তরীণ সংকটের কথা উল্লেখ করে নেতৃত্বের বিষয়টি নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সাথে আলোচনা করতে চেয়েছেন।

কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির এক বৈঠকে দলটির রাজনৈতিক পতন নিয়ে নেতাদের সংঘাতের তিন সপ্তাহ পর আবার আলোচনায় বসতে যাচ্ছে দলটির নীতিনির্ধারকরা।

ওই চিঠিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন, তাদের মধ্যে সংসদ সদস্য, সাবেকমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা রয়েছেন।

দলটির প্রবীণ নেতারা বলছেন, তারা দলের ‘অনিশ্চয়তা’ এবং ‘পথবিচ্যুতি’ নিয়ে অসন্তুষ্ট।

চিঠিতে একটি ‘সৎ’ ‘ত্যাগী’ ও ‘সম্মিলিত নেতৃত্ব’ নির্বাচিত করার আহ্বান জানানো হয়। তাতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে ‘যুবকরা পার্টির প্রতি আস্থা হারাচ্ছে’।

যদিও কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝা ওই টুইট করে তা অস্বীকার করেছেন। তাতে বলা হয়, প্রায় ১০০ কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধীকে রাজনৈতিক নেতৃত্বে পরিবর্তনের জন্য চিঠি দিয়েছেন।

রাজস্থানের সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের বিদ্রোহ নিয়ে দলের প্রকাশ্য সমালোচনা করার পর গত মাসে কংগ্রেসের মুখপাত্রের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় সঞ্জয় ঝাকে।

কংগ্রেসের অভিযোগ, অস্তিত্বহীন চিঠিগুলো ফেসবুক বিতর্ক থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার একটি প্রয়াস এবং এসব বিজেপির কট্টরপন্থীদের কাজ।

গত লোকসভা নির্বাচনে পরপরই দ্বিতীয়বারের মতো দলের শোচনীয় পতনের পর ছেলে রাহুল গান্ধী কংগ্রেস প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর থেকেই সোনিয়া গান্ধী অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কংগ্রেসের সূত্র গুলো বলছে, যেভাবে দলটি পরিচালিত হচ্ছে এবং দিকনির্দেশনার অভাব রয়েছে- তাতে অসন্তুষ্ট দলের কিছু প্রবীণ ও তরুণ নেতা।

৭৩ বছর বয়সী সোনিয়া গান্ধী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি স্বাস্থ্যগত কারণে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চান না।

দলের একটি শক্তিশালী গোষ্ঠীর যাওয়া, কংগ্রেস সভাপতির পদে রাহুল গান্ধী ফিরে এসে দলকে নেতৃত্ব দিক। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.