নেতানিয়াহুর সরকারকে উৎখাতের ডাক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে উৎখাত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বিরোধী দল ইয়াশ আতিদের প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ। তাঁর আশা, নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে বিরোধী শক্তিগুলো একত্রিত হতে পারে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
স্থানীয় এক রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইয়ার লাপিদ বলেন, ‘এই সরকারকে উৎখাত করা উচিত। আমি মনে করি, নেতানিয়াহুর সরকারকে উৎখাত করা যেতে পারে।’
নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন সরকার থেকে মধ্যপন্থী নেতা বেনি গান্তজের পদত্যাগ প্রসঙ্গে ইয়ার লাপিদ বলেন, ‘এখন যেহেতু বেনি গান্তজ সরকার ছেড়েছেন, আমাদেরও করণীয় আছে। বিরোধীরা একসঙ্গে কাজ করবে। সরকারের পতন ঘটানোর জন্য নিজেদের অহংবোধ দূরে রেখে আমরা ঐক্যবদ্ধ হব।’
গত ৯ জুন, বেনি গান্তজ এবং গাদি আইজেনকোট ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। মূলত বেনি গান্তজের পদত্যাগের পর থেকেই নতুন একটি যুদ্ধ মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল অতি ডানপন্থী জোটের অংশীদাররা।
এর আগে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে শর্ত সাপেক্ষে স্বীকৃতি দিতে নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ইয়ার লাপিদ। মূলত সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের অংশ হিসেবে এটি করতে তিনি নেতানিয়াহুকে পরামর্শ দিয়েছেন।
গত মাসের শেষ দিকে ইসরায়েলের আর্মি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাপিদ বলেন, ‘নেতানিয়াহুর ঘোষণা দেওয়া উচিত তিনি ফিলিস্তিনের বিষয়ে আলোচনার শর্ত মেনেই সৌদির সঙ্গে (সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের) আলোচনায় যেতে চান।’ তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কেবল গাজার বেসামরিক বিষয় দেখভাল করবে।’
যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ভেঙে দিলেন নেতানিয়াহুযুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ভেঙে দিলেন নেতানিয়াহু তিনি তখন আরও বলেন, ‘আমরা আবু মাজেনকে (ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ মাহমুদ আব্বাস) নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করতে দেব না। তাহলে কীভাবে প্রত্যাশা করব যে তিনি আমাদের জন্য সামনের পথ পরিষ্কার করে রাখবেন?’
ইয়ার লাপিদ তখন নেতানিয়াহু সরকারের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করে আরও বলেন, ‘এই সরকারকে দিয়ে এটি (ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি) হবে না। আমাদের প্রয়োজন হলো নেতানিয়াহু সরকারকে ঘরে ফেরত পাঠিয়ে নতুন কার্যকর সরকার গঠন করা।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সাল থেকে ইসরায়েলে কট্টর ডানপন্থীরা ক্ষমতায়। এই সরকার দৃঢ়ভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.