নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা

কলকাতা প্রতিনিধি: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পুরভোট। এই পরিস্থিতিতে জনসংযোগের লক্ষ্যে আজ সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটকৌশলী পিকের হাত ধরেই করা হবে ঘোষণা। এতে যুক্ত হবেন ১ লক্ষ তৃণমূল নেতা-কর্মী। কাকে কোন দায়িত্ব পালন করতে হবে, সোমবারই তা জানাবেন তৃণমূলনেত্রী।
আজ সোমবার ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ২ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত, ৭৫ দিন ধরে চলবে এই কর্মসূচি।
৭৫ হাজারের বেশী তৃণমূল কর্মী ১৫ হাজার জনবসতিতে পৌঁছবেন। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের প্রায় আড়াই কোটি মানুষের সঙ্গে নতুন করে জন সংযোগ গড়ে তোলাই এই কর্মসূচির লক্ষ্য।
আজ সভায় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আইন হাতে তুলে না নিয়ে বিরোধিতায় কর্মসূচি পালন করব ৷  মানুষকে এ সবের মাধ্যমে বোঝাব আপনারা রাস্তায় নামলে বিজেপি গুটিয়ে যায় ৷
যারা গোলি মারো বলেছেন, তাঁদের ভাষাটা অন্যায়-দানবিক৷ এই বেআইনি কথা যাঁরা বলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারা গদ্দার তা মানুষ ঠিক করবেন, আপনারা কে বিচার করার ?
দিল্লীর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন ” পরিকল্পিত  গণহত্যাকে পরে দাঙ্গার চেহারা দেওয়া হয়েছে “।  বিজেপি এর পরেও ক্ষমা চায়নি  তারপরেও বিজেপি বলছে, বাংলা দখলে নিতে হবে। উত্তরপ্রদেশে কোনও বিচার নেই। ওখানে মেয়েদের কথা বলতে দেওয়া হয় না।  উস্কানি যাঁরা দিয়েছেন তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হয়নি?  তৃণমূলে লবি হয় না, দল কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। ভাল কাজ করলে তার টিকিট পাওয়া নিশ্চিত। পুরনো ও নতুনদের মিলেমিশে কাজ করতে হবে। কর্মীরা দলের বড় সম্পদ, নেতারা নন, এটা বুঝতে হবে। এনজিও-র নাম করে বাইরের লোক এলাকায় ঢুকছে। সবাই মিলে যতটা সম্ভব নজর রাখুন। দেশের সম্মান তলানিতে পাঠিয়ে দিয়েছে এই সরকার। জাতের নামে জাঁতাকল তৈরি করে আগুন লাগানো হচ্ছে।
তৃণমূল নেত্রী তার বক্তব্যে বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেন , ‘ভূমিপুত্রদের ক্ষমতা দেবেন, আমরা ভূমিপুত্র নই? আমাদের কী এনআরসি করে তাড়াবেন? রাজ্যে রাজ্যে বাংলার লোকদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ ” তিনি এও জানান তৃণমূল তহবিল তৈরি করে হিংসায় বিধ্বস্তদের সাহায্য করবে। কারও থাকার জায়গা না থাকলে, তাদের জন্য বাংলার দরজা খোলা’ ৷
এই মন্ঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের উদ্দ্যেশ্যে বার্তায়  বলেন, দিল্লিতে যা হয়েছে তা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। দিল্লিতে প্রয়োগ করা হয়েছে গুজরাত মডেল।  আইন মেনে সরকারকে চলতে হয়। বুধবার দুপুর ৩ থেকে একঘণ্টা ধরে ব্লকে ব্লকে ধিক্কার মিছিল হবে। পশ্চিমবঙ্গ বাসীকে সতর্ক করে বলেছেন ” দোল-হোলি-রামনবমীতে প্ররোচনা দেওয়া হবে, সঙ্ঘাতে যাবেন না “। অমিত শাহ উদ্বাস্তুদের অপমান করছেন। উনি নাগরিকত্ব কেড়ে নিচ্ছেন। নাগরিকত্বের নামে সব মিলিয়ে তিন-চারশ লোক মারা গিয়েছেন। সিপিএম-কংগ্রেস ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। ওই জন্যই বিজেপি শুধু ২০০টি আসন জিততে চায়। বাকি ৯৪টি আসন ছেড়ে রাখতে চায়।
আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতাজি ইন্ডোরে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সেখানে তিনি বললেন ‘দেশ থেকে যতদিন স্বৈরাচারী সরকার বিদায় না নিচ্ছে, ততদিন আমাদের লড়াই চলবে ।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) বিশেষ কলকাতা প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.