চলতি মৌসুমে শেষ সময়ে কোল্ডস্টোরে রাখা আলুর দাম আশানুরূপ পেয়ে কৃষকেরা আবারো আলু রোপন শুরু করেছে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জমিতে আমন ধান কাটা শেষ হওয়ায় ওইসব জমিতে আলুর চাষাবাদ করছে। অনেকে আলু রোপনের জন্য মাঠ পরিচর্যায় ব্যাস্ত হয়ে পরেছেন।
এ অঞ্চলের মাটি আলু চাষের জন্যে উপযোগী হওয়ায় অনেকে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করে থাকেন। অন্যান্য রবি ফসলের চেয়ে আলুতে লাভ জনক হওয়ায় বিগত কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলের কৃষকেরা আলু চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমান সময়ে যে সবাই জাতের আলু বীজ রোপণ করছেন এ-র মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, লাল পাকড়ে,ও গ্যানোলা বীজ উল্লেখযোগ্য।
বেশী ফসলের আশায় কৃষকেরা এ সব বীজ সংগ্রহ করে রোপণ করছেন।
তবে আলু বীজের দাম বেশী হওয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষকেরা । তারপরও গত মৌসুমের চেয়ে এবার আরো বেশি জমিতে আলু চাষ হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। এক সময়ের অভাব লেগে থাকা জনপদ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় আগাম ধান ও আলুতে এখন বদলে গেছে এ উপজেলার চিত্র।
আলু লাগাতে এখন পুরোপুরি ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা । বর্তমান সময়ে আলুর বীজ রোপনের কাজ চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। আলু রোপনের ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে এমন কথা বললেন কৃষক মানিক । রহিম জানান বৃষ্ঠির কারণে এবার আগাম আলুর বীজ রোপণে কিছুটা দেরি হয়েছে।
অপরদিকে আলু বীজের দাম গত বছরের চেয়ে বেশি। তারপরেও এবছর বেশি জমিতে আলু চাষ হবে। আলম জানান আমন ধানের ফসল ভালো হয়েছে। কিন্তু ধানের দাম না থাকায় লাভ তো দুরের কথা উৎপাদন খরচই উঠছে না। তাই আলু চাষ করে যদি কিছু লোকেশান পুশিয়ে নেয়া যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে ।
কৃষি বিভাগের মতে, আলু বীজের বাড়তি দাম বা বৃষ্টি, আগাম আলু রোপণে বাঁধা হবে না। কৃষি কর্মকর্তা শাহ মোঃ মাহফুজুল হক বলেন, আশা রাখি এ আগাম আলুর মূল্যটাও কৃষক ভালো পাবে।
আবহাওয়া ভালো আছে, এ আবহাওয়াতে আলুর ফলন ভালো হবে। কৃষি বিভাগ বিটিসি নিউজকে জানান, এবার ৪ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে জলঢাকা উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হবে ১২ টন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.