নীরবে ইউক্রেনে কৌশল পরিবর্তন করছে বাইডেন প্রশাসন

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা এবং ওয়াশিংটনে অবস্থানরত এক ইউরোপীয় কূটনীতিকের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সম্পূর্ণ বিজয় নিশ্চিত এখন আর পশ্চিমাদের টার্গেট নয়। তারা এখন ইউক্রেনের ভূখণ্ডের বিনিময়ে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে চায়। খবর পলিটিকোর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে ইউক্রেন নিয়ে কোনো নীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়নি হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা এবং একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক পলিটিকোকে নিশ্চিত করেছেন, গোপনে ইউক্রেনের জয় নিশ্চিতের ভাবনা বাদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। 
পলিটিকোর সাংবাদিক মাইকেল হার্শকে তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কর্মকর্তারা এখন ইউক্রেনীয় সেনাদের পিছু হটার পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। ব্যর্থ কাউন্টার অফেন্সিভ পুরোপুরি সমাপ্ত করে এখন প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নেবে ইউক্রেনীয় সেনারা। মাইকেল বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগে যেখানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যতদিন প্রয়োজন ইউক্রেনের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র, সেখানে এখন তিনি বলছেন, যতদিন সম্ভবত ততদিন পাশে থাকবে তারা।
কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য নতুন সহায়তা আটকে যাওয়ার পর এখন বাইডেন ইউক্রেনের নিজস্ব সামরিক শিল্পের পুনরুত্থানের জন্য চাপ দিচ্ছেন। হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানান, সমঝোতার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করা সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র পরিকল্পনা ছিল। ইউক্রেনকে সহায়তার একটাই উদ্দেশ্য ছিল, দর কষাকষির সময় যাতে তারা সুবিধাজনক স্থানে থাকতে পারে।
পলিটিকোর রিপোর্টে বলা হয়, বাইডেন ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্য উভয় স্থানেই যুদ্ধবিরতি চান। ইসরাইলের প্রতি তার অব্যাহত সমর্থনের কারণে প্রগতিশীল ডেমোক্রেটদের সমর্থন হারাচ্ছেন বাইডেন। তিনি নির্বাচনের বছরে ‘নেতিবাচক শিরোনাম’ এড়াতে চাইছেন।
প্রায় দুই বছর ধরে ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য হওয়ার বিষয়টি বাইডেনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলবে।
এই আশঙ্কা থেকে প্রকাশ্যে এ বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনা শোনা যাচ্ছে না। এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, হোয়াইট হাউস এই রাজনৈতিক ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত রয়েছে। এরইমধ্যে শান্তি আলোচনার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।
গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট করেছে, ইউক্রেনের যে বিশাল এলাকা রাশিয়া দখল করে নিয়েছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে মস্কো। ফলে এখন যে ফ্রন্টলাইন রয়েছে, তাই হবে ইউক্রেন-রাশিয়ার সীমান্ত। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.