নিহত ও আহত ছাত্র-জনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা: আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনের সাথে জড়িতদের বিচার করা হবে – হারুনুর রশীদ

বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনের সাথে জড়িতদের বিচার করা হবে। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে অত্যাচার নির্যাতনকারীদেরও কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, শেখ মজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর ইন্না লিল্লাহ পর্যন্ত পড়ে নাই দেশের মানুষ, শেখ হাসিনাও ভারতে পালিয়ে যাওয়ায় দেশের মানুষ দুঃখ প্রকাশ করেন নাই, বরং আনন্দ করেছে। এখন শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এদের বিচার করা হবে।
গণ আন্দোলনে নিহত ও আহত ছাত্র-জনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা-রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার ও যৌক্তিক সময়ে সংসদ নির্বাচনের দাবীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি’র বিশাল সমাবেশে শনিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা পার্কে বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোঃ হারুনুর রশীদ।
বিএনপি সদর থানা, পৌর ও অংগ সংগঠনের যৌথ আয়োজনে পৌরসভা পার্কে এই বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথি আরও বলেন, বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের গণহত্যাকারী, দূর্ণীতি, অনিয়ম ও অর্থ লুটপাটকারীদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা বাতিল করতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং সম্মান প্রদান করতে হবে। গুম খুনের সাথে জড়িতদের বিচার করতে হবে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর অত্যাচার, হয়রানী ও নির্যাতনকারীদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী রক্তচোষাদের বিচার করতে হবে।
বিএনপি নেতা হারুন জামায়াতের আমীর এর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী নির্যাতন ও অত্যাচারকারীদের ক্ষমা করা অধিকার জামায়াতকে কে দিয়েছে?, গোলাম আজম, মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীকে হত্যাকারীদের ক্ষমা করার কোন অধিকার নেই, এসবের সাথে জড়িতদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হতে হবে। আমাদের ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ এখনো শুকাই নাই, আয়না ঘর, টর্চার শেলে যাদের নির্যাতন করা হয়েছে, এসবের বিচার না হলে, ভূক্তভোগীদের আমরা কি জবাব দেব?, আওয়ামী স্বেরাচারীরা রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, যারা এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত তাদেরও বিচার করতে হবে। পিলখানা হত্যকান্ডের সাথে জড়িতদেরও বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, পুলিশ আওয়ামীলীগের তাবেদারী করায় ভয়ে রাস্তায় নামতে পারছে না। আমরা পুলিশকে মানুষের বন্ধু হিসেবে দেখতে চায়, পুলিশের পোষাক ও লোগো পরিবর্তন চাই। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস কে অভিনন্দন ও সম্মান জানিয়ে দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ে সংসদ নির্বাচনের দাবীও জানান প্রধান অতিথি। নির্বাচন দিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ারও আহবান জানান তিনি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম তসি, কৃষক দলের উপজেলা সভাপতি আকম সাহিদুল আলম বিশ্বাস পলাশ, পৌর বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা শামসুল হক, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বারেক, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহবায়ক তবিউল ইসলাম তারিফ, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান অনু, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর কবির, তাসেম আলী, রানীহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রহমত আলী, স্বেচ্ছাসেকবক দলের নেতা সোহেল, জেলা সেচ্ছাসেবকদলের সাবেক ছাত্রনেতা সামিরুল ইসলাম পলাশ, মিম ফজলে আজিম, হামিদুর রহমান।
এসময় জেলা, উপজেলা, পৌর বিএনপি ও অংগ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে জেলার বিভিন্ন স্থানের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.