নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের বাংলাদেশের তের তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে পবা-মোহনপুর হতে ধানের শীষের নির্বাচন করার জন্য কাজ করে যচ্ছেন বলে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচনে তিনি জিতলেও পবা-মোহনপুরবাসীর হয়ে কাজ করবেন, না জিতলেও তিনি কাজ করে যাবেন। যতদিন না পর্যন্ত রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো ভাল না হবে, অন্যায় বিতারিত হবে, ততদিন পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে তিনি কাজ করে যাবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পবার দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আয়োজনে কলার টিকর স্কুলমাঠ প্রাঙ্গনে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে গণ সচেতনতামূলক প্রচারণায় আসন্ন তের তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন প্রস্তুতি গ্রহনের লক্ষে কর্মী সভায় এই তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্তরবর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনুস এই ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি জাতি সংঘেও এ কথা বলেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম বলছে পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনে আসবে না। কিন্তু তারা সবার আগে তাদের মনোনয়ন শেষ করেছেন। উপরে উপরে তারা বলছে নির্বাচন নয়, কিন্তু ভিতরে ভিতরে তারা পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয় যাচ্ছে। জামায়াতের পুরুষ ও নারী কর্মীরা সাধারণ মানুষকে বেহেস্তের টিকিট দিয়ে ভোট চাচ্ছে। তারা বলছেন দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে বিনা বাধায় বেহেস্ত (না-উযুবিল্লাহ)। বাড়ি রাড়ি গিয়ে এই সকল ভন্ডামী বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি। না হলে জনগণই আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি প্রতিটি নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে যেয়ে নারী ও পুরুষদের জামায়াতের ভন্ডামী তুলে ধরার আহ্বান জানান। সেইসাথে ধানের শীষে ভোট চাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
মিলন বলেন, জামায়াত হচ্ছে মোনাফেক আর আওয়ামী লীগ হচ্ছে দেশদ্রোহী। এই জোট আবার দেশে অস্থিরতা করার পাঁয়তারা শুরু করেছে। জামায়াত ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের সময়ে ভারতের পক্ষে ছিলো। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তারা পাকিস্তানের হয়ে কাজ করেছে। প্রকৃতপক্ষে জামায়াতে ইসলাম কখনো চায়নি বাংলাদেশ নামে একটি ভূখন্ড হক। তারাও হচ্ছে দেশদ্রোহী। শুধু তাইনয় ১৯৮৬ সালেও চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে এক ভাষনে জামায়াতের আমির গোলাম আজম বলেছিলেন স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের সাথে যারা নির্বাচনে যাবে তারা হচ্ছে মোনাফেক। ভাষনের পরেরদিন মেজর জেনারেল হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এর হাতে হাত মিলিয়ে আওয়ামীলীগ ও জামায়াত নির্বাচন করে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশদ্রোহী ও মোনাফেকদের সাথে একত্রে এরশাদের সাথে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেননি। তিনি দেশবাসীকে সাথে নিয়ে একাই এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে মাঠে ছিলেন। এজন্য তাকে আপোসহীন নেত্রী বলা হয়। জামায়াত শুধু অতিতেই নয় ১৯৯৬ সালে আযাযা বাহিনী গঠন করে বিএনপি’র বিপক্ষে আন্দোলন করেছিলো। এর ফলে জামায়াতের অনেক লাভ হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেতার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ফাঁসি দিয়েছে। এরপর আবারও তারা বিএনপি’র পেছনে আসে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত ঠিক ছিলো, এরপরে তারা আওয়ামীলীগের পক্ষে গা ভাসিয়ে দিয়ে নিজেদের আখের গোছায় ও পিট বাঁচায় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, যারা খারাপ তারা আর বিএনপি’র সাথে থাকতে পারবেনা। এর উজ্জল দৃষ্টান্ত বিভিন্ন অপকর্ম ও দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের কারনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সাত হাজার নেতাকে বহিস্কার করেছন। এ থেকেই প্রমানীত কোন অন্যায়কারীর বিএনপিতে ঠাঁই নাই।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলাম বিএনপিকে চাঁদাবাজ বলে অপ্রচার করছে। কিন্তু অপর দিকে জামায়াত চাঁদা উত্তোলনের জন্য বেতন দিয়ে কর্মী রেখে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করছে। এটা হচ্ছে তাদের যায়েজ কাজ। বলাৎকার ও ধর্ষন করে তওবা পরলেই তারা বলে মাফ পেয়ে যায়। ধর্ম নিয়ে ভন্ডামী ও রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। সেইসাথে নির্বাচন নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার আহ্বান জানান। শেষের দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দামকুড়া ইউনিয়ন বিএএনপি’র আহ্বায়ক এনামুল হক কনকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব নওসাদ মেম্বরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি রাজশাহী জেলা শাখার সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, পবা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপি’র সদস্য ও নওহাটা পৌর সাবেক মেয়র শেখ মকবুল হোসেন, পবা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, আব্দুস সালাম, সদস্য জাইদুর মাস্টার ও হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন।
আরো উপস্থিত ছিলেন, পবা উপজলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাইজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা ও কামরুজ্জাম ও সাবেক সদস্য ফরিদুল ইসলাম এবং পবা উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ। #