নির্বাচন করতে দেরি, আদালতে দোষী সাব্যস্ত শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহ স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনে এক বছরের বেশি সময় দেরি করায়  ‘বেআইনি আচরণের’ দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সুরিয়ার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিলম্বের কারণ হিসেবে অর্থনৈতিক সংকটের কথা জানিয়েছিলেন বিক্রমাসিংহে। প্রেসিডেন্টকে দোষী সাব্যস্ত করার পাশাপাশি শীর্ষ দ্রুত স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে।
গত বছরের মার্চের স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল শ্রীলংকায়। কিন্তু, সেই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। যার কারণ হিসেবে অর্থনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করেছিলেন বিক্রমাসিংহে।
এ রায়ের পরে নিজের সপক্ষে বিক্রমাসিংহে দাবি করেছেন, অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং জীবনের অধিকার নিশ্চিত করাই তার প্রথম দায়িত্ব।
তিনি আশ্বাস দেন, তিনি নির্বাচনে জনগণের জীবন এবং তাদের ভোটের অধিকার উভয়ই রক্ষা করবেন।
একইসঙ্গে, নির্বাচন স্থগিত করার পক্ষে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, এ দেরি করার জন্য তিনি দুঃখিত নন। কারণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং জীবনের অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন ছিল।
আগের প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাক্ষের পদত্যাগের পরে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন বিক্রমাসিংহে। সেই সময় দেশটিতে গুরুতর অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল। এরপর গত বছরের মার্চে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করে দেন প্রেসিডেন্ট।
সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছেন, বিক্রমাসিংহে স্থানীয় নির্বাচনের জন্য তহবিল বরাদ্দ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আগে আদালত এ নির্বাচন বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে বিক্রমাসিংহের প্রশাসন যুক্তি দিয়েছিল, সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনের জন্য তহবিলগুলি প্রয়োজনীয় ছিল। আদালত বিক্রমাসিংহের ‘স্বেচ্ছাচারি’ এবং ‘বেআইনি আচরণ’ এর সমালোচনা করেছে। এই আচরণ সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.