নির্বাচনে সব দলের আসার সিদ্ধান্তকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

 

ঢাকা প্রতিনিধিআজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন হবে।

নির্বাচনে ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের উপযুক্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীকেই প্রার্থিতা দেওয়া হবে বলে জানান দলীয় সভাপতি।

নির্বাচন বিষয়ে কয়েক বছর ধরে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর দূরত্ব দেখা দিচ্ছিলো। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি-গণফোরামসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি অংশ না নিলেও ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সম্প্রতি একাধিকবার সংলাপ-আলোচনার পর শোনা যায়, ঐক্যফ্রন্ট ভোটে যাচ্ছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ঐক্যফ্রন্ট সরকারকে সাত দফা দাবি দিলেও সে সবের কয়েকটি নাকচ করে দেয় সরকার। এই দরকষাকষি শেষেই আজ রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় ঐক্যফ্রন্ট। অপরদিকে ভোটে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় বিএনপির নেতৃত্বে থাকা আরেক জোট ২০ দলও।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। নির্বাচনে জনগণ যাদেরকে ভোট দেবেন তারাই জয়লাভ করবে। আমরা সবাই মিলে নির্বাচন করবো। সবাই যেহেতু নির্বাচন করবে সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও স্বাগত জানাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনটা কিভাবে করবো এবং নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সে আলোচনা হয়েছে। অনেকে অনেক দাবি দাওয়া করেছিল। বেশকিছু আমরা মেনে নেই। নির্বাচনটা যেন সবার জন্য অংশগ্রহণমূলক হতে পারে, সবাই যেন নির্বাচন করার সুযোগ পায়, সেদিকে আমরা দৃষ্টি রাখবো, সে কথা আমরা বলে দিয়েছি। সবাইকে স্বাগত জানাই যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে সবাই মতামত দিয়েছেন। যা গণতান্ত্রিক ধারাকে আরো শক্তিশালী করবে। অর্থনৈতিক গতিও ত্বরান্বিত করবে, এটা আমি আশা করি।

সংলাপে ২৩৪ জন নেতা ও ৭০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। সাতদিনে ২৪ ঘণ্টা ৫ মিনিট সংলাপ হয়, এ তথ্যও সংসদীয় বোর্ডের সভায় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা যে উন্নয়নটা করেছি তার ধারা যেন অব্যাহত থাকে এটা আমরা চাই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই গতিটা যেন কোনমতেই থেমে না যায়। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি, সেদিকে দৃষ্টি রেখেই আমরা আলাপ-আলোচনা করি।

দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মনোনয়নপত্র দিয়েছি। চেষ্টা করবো উপযুক্ত প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে। সবসময় নিজেদের ৩০০ আসনে প্রার্থী ঠিক করলেও জোটের প্রার্থীদের জন্য পরে আসন ছেড়ে দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের ও রশিদুল আলম।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.