নির্বাচনে না আসলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হবে : খায়রুজ্জামান লিটন


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: নির্বাচনে না আসলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
পঞ্চগড়ে বিএনপি-জামায়াতের প্রত্যক্ষ মদদে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে ও বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে রাজশাহী মহানগর যুবলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে, না আসবে। আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। কিন্তু যদি না আসে জোর করে আনার কিছু নাই। কাউকে সেধে নির্বাচনে আনতে হবে, এই দায়িত্ব তো জনগণ আমাদের দেয়নি, সংবিধান আমাদের দেয়নি। এই দায়িত্ব ওই দলেরই। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে বিএনপির অস্তিত্বই হুমকির সম্মুখীন হবে। তারা এরআগে ২০১৪ সালে ভোট বর্জন করেছে, ২০১৮ সালে ভোট বর্জন করেছে এবং এইবার নির্বাচন না করলে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হবে। সেটি যদি তাদের কাছে ভালো লাগে, তাহলে সেটিই করুক, আমাদের কোন আপত্তি নেই।
শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যারা এখন নির্বাচন নির্বাচন বলে প্রাণ দেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন বলে জান দেন, তাদেরকে বলতে চাই যেদিন ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ ভোট আর না ভোট হয়েছিল, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রপতি চান কি চান না, হ্যা ভোটে বাক্স ভর্তি, না ভোটের বাক্স খালি, সেদিন গণতন্ত্র কোথায় ছিল? যেদিন ৭৯ সালে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে দয়া করে ৩৯টি আসন দেন, বাকি সব আসন নিয়ে চলে যান, সেদিন গণতন্ত্র কোথায় ছিল? যেদিন বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতারা মাস্তানি করে, টেন্ডারবাজি করে, চাঁদাবাজি করে, হল দখল করেছিল সেদিন গণতন্ত্র কোথায় ছিল? যেদিন হজ্বের জন্য কেনা জাহাজে মেধাবী ছেলেদের নিয়ে গিয়ে মগজ ধোলাই করা হয়, সেদিন গণতন্ত্র কোথায় ছিল? এই সমস্ত কথা মনে রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না।
রাসিক মেয়র লিটন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দল। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল। পূর্ব পাকিস্তান আমল থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রত্যেকটি লড়াই-সংগ্রামে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে করেছে একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। জনগণের কল্যানে রাজপথে আছে।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কেন আমাদের সাথে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ কবে কবে শান্তি সমাবেশ করবে বলে দিলে সেদিন আমরা শান্তি সমাবেশ করবো না। অন্যদিন করবো।’ আমি বলতে চাই, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছি, আপনারা পদযাত্রা করছেন, করেন। আপনাদের পদযাত্রাকে অনেকে নাম দিয়েছে শবযাত্রা। মানে লাশ ঘাঁড়ে নিয়ে যে যাত্রা, সেই যাত্রা। আপানারা শবযাত্রা করেন, আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। যদি আপনারা পদযাত্রার নামে নৈরাজ্য, অরাজকতা করেন, তাহলে আমরাও কিন্তু বসে থাকবো না। আমরা রাজপথে সমুচিত জবাব দেবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেওয়ার সাথে সাথে রাজপথ দখলে নিয়ে নিবো।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাইরের শক্তিরা, যারা আমাদের বিরোধী শক্তি। তারা বিরোধী দলকে প্রায়ই উসকাচ্ছে-বলছে‘তোমরা করো, আমরা আছি’। ঠিক যেভাবে ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার আগে বৃহৎ শক্তি, একাধিক শক্তি উসকানী দিয়েছিল। তাদেরও বলতে চাই ৭৫ আর ২০২৩ এক নয়। ওই স্বপ্নটা দেখেন না। আজকে আমরা অনেক সবল, অনেক সুরক্ষিত, অনেক দৃঢ়ভাবে আছি। আজকে আমাদের সেনা বাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী আগের চেয়ে অনেক বেশি তৎপর এবং আজকে আমাদের সংগঠন অনেক বেশি একাট্টা। আপনারা ইচ্ছে করলেই ষড়যন্ত্র করে সফল হতে পারবেন না।
রাজশাহী মহানগর যুবলীগ সভাপতি মোঃ রমজান আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান। সভায় আরো বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ ও ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রজব আলী, মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি মোখলেছুর রহমান মুকুল প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল শেখ।
সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তাক হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবু, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদশ্যামল কুমার ঘোষ, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ বাবু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর তৌহিদুর রহমান কিটু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.