নির্বাচনে ইভিএম বাতিল করে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বিল পাস

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কজাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বাতিল করে বিল পাস করেছে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ। একই সঙ্গে প্রবাসী পাকিস্তানিদের আই-ভোটিংও বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্নীতি দমন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) ক্ষমতা কমিয়ে আরেকটি বিল পাস হয়েছে। খবর দ্য ডনের।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন (সংশোধন) বিল, ২০২২ ও এনএবি (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল, ২০২১ জাতীয় পরিষদে উত্থাপন করে সরকারি দল। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন আইনে সংশোধন আনার মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার ও প্রবাসী পাকিস্তানিদের আই-ভোটিংয়ের মতো পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের আনা বিতর্কিত পরিবর্তনগুলো বাদ দেওয়া হলো।
সরকারি দল এমন সময় পার্লামেন্টে বিল দুটি উত্থাপন করেছে, যখন আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন চলছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় সরকারকে ছয় দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান আকস্মিক ‘আজাদি মার্চ’ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই বিল দুটি জাতীয় পরিষদে উত্থাপন করা হয়।
জাতীয় পরিষদে বিল দুটি পাস হওয়ায় এখন অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে। সিনেটে পাস হওয়ার পর বিল দুটি আইনে পরিণত হবে।
তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী উপনির্বাচনে ইভিএম ও বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য পাইলট প্রকল্প নিতে পারবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। একইভাবে প্রবাসী পাকিস্তানিরা যাতে উপনির্বাচনে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য প্রযুক্তিগত কার্যকারিতা, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা ও আর্থিক সম্ভাব্যতার বিষয়টি নিশ্চিত হতে কমিশন পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করতে পারবে।
এদিকে, জাতীয় পরিষদে পাস হওয়া বিলে প্রবাসীদের প্রযুক্তির মাধ্যমে নয়, সশরীর ভোটদান ও পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনগুলোয় ইভিএম ব্যবহার না করার বিধান রাখার সমালোচনা করেছে পিটিআই। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেছেন, ৯০ লাখ প্রবাসী পাকিস্তানিকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলো। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.