নির্বাচনী সহিংসতায় কারণ খতিয়ে দেখতে ইসির নির্দেশ

ঢাকা প্রতিনিধি: আজ বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে ধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বলেন, দুটি জীবন চলে যাওয়া মোটেই ছোট কোন ঘটনা না।

এই ঘটনার পেছনে কেবল রাজনীতি ছাড়া তৃতীয় কোন শক্তির ইন্ধন আছে কিনা না তা খতিয়ে দেখতে সব গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেন সিইসি।

এছাড়া গত দুই দিন ধরে নির্বাচনী প্রচারের সময় সহিংসতার ঘটনা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তির পাঁয়তারা কি না তাও খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন সিইসি।

আজ   সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে  বৈঠক শুরু হয়।

নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

সিইসি বলেন, ২০১৪ সালে একটা ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, সে অবস্থার আলোকে আমাদের এ বছরের নির্বাচনের প্রস্তুতির রূপরেখা অবলম্বন করা প্রয়োজন। তখন মাঠে সব বাহিনী ছিল, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ছিল-তবুও আমরা দেখেছি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, প্রিজাইডিং অফিসার নিহত হয়েছেন, ম্যাজিস্ট্রেট নিহত হয়েছেন, শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন, শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে।

তিনি বলেন, ওইসব ঘটনা কী প্রেক্ষিতে হয়েছিল, সেটা আমরা কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি, সে প্রসঙ্গ আলোচনা করার প্রয়োজন আমি মনে করি না। সেটা আমাদের মনে রাখতে হবে, ভুলে গেলে চলবে না। সে অবস্থা থেকে কীভাবে উত্তরণ করা যায়, সে অবস্থার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই পরিবেশ পরিস্থিতির সৃষ্টি যাতে না হয়, সেদিকে সতর্কতার সঙ্গে দৃষ্টি রাখতে হবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মোট ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন ভোটার রয়েছেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.