নির্বাচনীয় এলাকায় এমপি মিলন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে জনগণের পাশে

বাগেরহাট প্রতিনিধি: করোনা দুর্যোগ শুরু হওয়ার পর থেকে আজ অবধি প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি ঘুটঘুটে অন্ধকার চারিদিকে ভারী দমকা হাওয়া। সুপার সাইক্লোন আম্ফানের ১০ নম্বর সতর্ক সংকেত।

অন্যদিকে জনে জনে করোনার আশঙ্কা উপেক্ষা করে এরই মধ্যে রাতভর এক আশ্রয় কেন্দ্র থেকে আরেক আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটেবেড়ান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজ সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন তার মোরেলগঞ্জ শরণখোলার নির্বাচনী এলাকার সকল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ছুটে বেড়ান এমপি মিলন।

তিনি অনাড়ম্বর যে কোনো দু:সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়ান। এবারও ব্যত্যয় ঘটেনি। ঘূর্ণিঝড় সুপার সাইক্লোন আম্পান আঘাত থেকে নিজ নির্বাচনীয় এলাকার মানুষকে বাঁচাতে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা সংসদ সদস্য এ্যাড আমিরুল আলম মিলন করোনার মধ্যে নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে গতকাল বুধবার (২০ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড় আম্পান সম্ভাব্য আঘাত হানার বিষয়ে জনগণকে আগাম সতর্ক করতে মোরেলগঞ্জও শরণখোলা উপজেলার দুর্গম, প্রত্যন্ত, উপকূলীয় ক্ষতিগ্রস্ত বেঁড়িবাধ গুলো পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে জনগনের খোজ খবর নেন ।

তারই মাঝে ঝুঁকিপূর্ন বিভিন্ন উপকুলীয় এলাকায় তিনি নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ঘুরে মানুষকে সতর্ক করছেন। সাহস যোগাচ্ছেন। মানুষকে বোঝাচ্ছেন সতর্ক হলে ঝুঁকি অনেক কমে যেতে পারে।

এছাড়া আম্পানের ক্ষতি ও ঝূঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের হাত থেকে নিজ এলাকাকে কিভাবে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে তিনি। পানি সম্পদ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, জেলা প্রশাসক,এর সাথে মুঠো ফোনে সার্বিক বিষয়ে কথা বলেছেন এমপি মিলন এছাড়া তিনি স্থানীয় প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর উদ্ধতন কর্মকর্তাও স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের সাথে আম্পান মোকাবেলা ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সরাসরি একাধিক বার বৈঠক করেছেন।

এ বিষয়ে সাংসদ আমিরুল আলম মিলন তার এলাকার জনগণের উদ্দেশে বলেন, ঘুর্ণিঝড় থেকে রক্ষার জন্য প্রতিবন্ধী-শিশু- গর্ভবতী মহিলাসহ সকলকে জরুরি আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করছি।

তিনি বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না,আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের পাশে আছে।বিপদের সময় আমি আমার এলাকার দলীয় নেতাকর্মীসহ আমার এলাকার মানুষকে ছেড়ে যেতে পারি না। যত বড় বিপদই আসুক না কেন আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই। কারন আমার সকল শক্তির উৎস হলো জনগণ। আমি সকল সহযোগিতা নিয়ে মানুষের পাশে থাকতে চাই।যতক্ষণ পর্যন্ত এই আবহাওয়া অনুকূলে না আসে তিনি তারনির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করবেন বলে তিনি জানান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল আলম মিলন তিনি আরো বলেন এসবই যা কিছু আমি করেছি এটা আমার দায়িত্ব। আমার দায়িত্বটুকুই শুধু আমি যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। এর থেকে বেশি কিছুই নয়’ তিনি বলেন,বাগেরহাট মানে বাংলাদেশ আমি আমার নির্বাচনী এলাকার মোরেলগঞ্জ শরণখোলা মানুষের জন্য কিছু করতে পারলেই তা পুরো বাংলাদেশের জন্য করা হবে।

দলমত নিবিশেষে তিনি সকল। সচেতন মানুষকে একযোগে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহবান জানান।এদিকে ঘূর্ণিঝড় “আম্ফান” দূর্যোগপূর্ব এবং দূর্যোগ পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোব্ধা এ্যাড আমিরুল আলম মিলন।

মোড়লগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, গণমাধ্যমকর্মী ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের সাথে নিয়ে। জরুরী মতবিনিময় সভা করে চলছেন।

বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় দলীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।

সুপার সাইকোন ‘আমফান’ সৃষ্ট সর্বশেষ দুর্যোগ পরিস্থিতি সর্বক্ষণ মনিটরিং করছেন। মোরেলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ যুগ্ন আহ্বায়ক সাবেক সংগ্রামী সভাপতি মোহনগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ এ্যাড তাজিনুর রহমান পলাশ বলেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতার আমিরুল আলম মিলন এমপির কঠোর নির্দেশনায় আম্ফান” মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি পর্যাপ্ত পরিমানে শুকনা খাবার মজুদেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে সকলকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহবান জানান হয় সুপার সাইক্লোন আম্পান মোকাবেলায় সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় প্রার্থীদের জন্য অগ্রিম খাবার সরবরাহ,পানি,মাক্স বিতরন করেছি। মোড়লগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন।

করোনা দুর্যোগ শুরু হওয়ার পর থেকে আজ অবধি । একদিনও ঠিকমতো বিশ্রাম নিতে পারেননি আমাদের এই এমপি মহোদয়।বাগেরহাটে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর থেকেই উপকূলীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নির্ঘুম রাত কাটায়।

উপকূলীয় এলাকার সাধারণ মানুষ গবাদিপশুসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠানের নির্দেশনা দেন । ইতোমধ্যে জেলায় প্রায় ৩ লাখ লোককে ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলবর্তী এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

বাগেরহাটের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাওয়ায় জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আগের মতো লোক গাদাগাদি করে রাখা যাবেনা।

সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রাখতে হবে। এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেজন্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রকগুলোর পাশাপাশি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলো আশ্রয় কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।বাগেরহাট জেলায় মোট ৯৭৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউটস, সিপিপির মোট ১১ হাজার ৭০৮ জন। স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.