নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্বশীল হতে হবে : খুলনায় জামাকন চেয়ারম্যান

খুলনা ব্যুরো: নির্বাচনকালীন মানবাধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা আজ বৃহস্পতিবার খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।

এ উপলক্ষে বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানের ঘোষণাপত্র ১৯৭১ এর ১০ এপ্রিল প্রনীত হয়েছিল মুজিব নগর সরকারের মাধ্যমে। যেখানে বলা হয়েছিল সমতা, সামাজিক ন্যায় বিচার ও মানবাধিকার এই তিনটির জন্য আমরা একটি স¦াধীন দেশ গঠন করলাম। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের অধিকার নিয়েই মানবাধিকার। এর ব্যপ্তি অনেক বেশী। প্রত্যেকটি মানুষে যেমন মানবাধিকার আছে তেমনি ভোটাধিকারও আছে। যা সংরক্ষন করতে হবে। ভোটের অধিকারই মানবাধিকার। ভোট একটি উৎসব। এই উৎসব ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশ যেন একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা অত্যাচার নির্যাত দেখতে চাই না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের পরও যেন দেশে শান্তি শৃংখলা বজায় থাকে সে ব্যাপারে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বঙ্গবন্ধুর আহবানে মুক্তিযুদ্ধে ধমর্, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণ তার বড় প্রমাণ। কিন্তু ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যে পাশবিক নির্যাতন হয়েছিল এবং ২০১৪ সালেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে সকল ঘটনা ঘটেছিলো সে ধরণের কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা আর দেখতে চাই না। এজন্য আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি নাগরিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে নিয়ে নাগরিক ফোরাম গঠন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে এক সাথে কাজ করতে হবে।

সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহারিয়ার কবির। তিনি ‘সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি’ গড়ে তোলার আহবান জানান,পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত ৪১টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অস্থায়ী ভিত্তিতে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের অনুরোধ করেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান, কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।

সভার শুরুতে মানবাধিকার সংক্রান্ত দু’টি ভিডিও চিত্র পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে দেখানো হয়।

খুলনা জেলা জেলা প্রশাসক মোহম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন সরকারী ও বেসকারী দপ্তরের কর্মকর্তা,মুক্তিযোদ্ধা গণমাধ্যমকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত কয়েকজন ভিক্টিম অংশ গ্রহন করেন এবং মতামত প্রদান করেন।
খুলনা জেলা প্রশাসনের সহায়তায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ সভার আয়োজন করে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.