নিরাপদ মাতৃত্ব প্রত্যেক মায়েরই অধিকার : আসাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিরাপদ মাতৃত্ব প্রত্যেক মায়েরই অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
সোমবার সকাল ১০ টায় মোহনপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় উপজেলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক প্রসব সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এমসিএইচ-সার্ভিসেস ইউনিট এই কর্মশালায় সহযোগিতা করেন।
সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব প্রত্যেক মায়েরই অধিকার। একজন সুস্থ মা-ই পারে একজন সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে। আর অনাগত এ সন্তানটিই দেশের ভবিষ্যৎ। সুতরাং মাতৃস্বাস্থ্যের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা অবহেলা করার সুযোগ নেই।
আসাদ বলেন, এখন বিনা চিকিৎসায় গর্ভবতী মায়েদের আর আগের মতো মৃত্যুবরণ করতে দেখা যায় না। জন্মদানের পর মা ও নবজাতক শিশুরাও বেশ সুস্থ থাকে। মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের এমডিজি পুরস্কারও পেয়েছেন।
এরপরও নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে। দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল এবং প্রায় ১৫০টির মতো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি প্রসূতিসেবা কার্যক্রম থাকলেও সঠিক সময়ে সেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এর অন্যতম কারণ পারিবারিক কুসংস্কার। তা ছাড়া অপরিকল্পিত গর্ভধারণ, কিশোরী মায়ের পুষ্টিহীনতা, রক্তস্বল্পতা, গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ, সুচিকিৎসা ও সচেতনতার অভাব, ভুল চিকিৎসা, অদক্ষ দাইয়ের হাতে সন্তান প্রসব, বাল্যবিয়ে, দরিদ্রতা, সর্বোপরি নারীর প্রতি অবহেলাসহ আরো বহু কারণে নারীরা যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। এ জন্য গর্ভকালীন পরিচর্যা, গর্ভবতী মায়ের খাদ্য, গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম ও বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা, গর্ভাবস্থায় সাধারণ অসুবিধা, প্রতিকার ও প্রসব-পরবর্তী সময়ে মায়ের যত্ন সম্পর্কে জানা দরকার।
কর্মশালায় মোহনপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাসের সভাপতিত্বে  সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রাফিউন নাহারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাক্তার ফাতেমাতুজ জোহুরা।
কর্মশালয় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা রাজশাহীর পরিচালক দেওয়ান মোরর্শেদ কামাল, উপ-পরিচালক ড. কস্তুরী আমিনা কুইন, সহকারী পরিচালক (সিসি)ও রিজিওনাল কনসালটেন্ট ড. মাহবুল আলম, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অহেদুজ্জামান, বিএমডিএ সহকারী পরিচালক জিএফ হাসানুল ইসলাম ফারুক,  মোহনপুর থানার তদন্ত ওসি আছের আলী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.