নিরাপত্তা কর্মী সেজে চাকরি: তথ্য সংগ্রহ করে কারখানায় ডাকাতি করতেন তারা, গ্রেপ্তার-৭

সাভার প্রতিনিধি: সাভারের আশুলিয়ায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কারখানায় নিরাপত্তা কর্মীর চাকরি নিয়ে তথ্য সংগ্রহের পর সেই প্রতিষ্ঠানেই ডাকাতি করতেন তারা।
রোববার (২৯ জুলাই) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আব্দুল্লাহ হিল কাফি।
শনিবার গভীর রাতে আশুলিয়ার বুড়িরবাজার এলাকার ডাক্তার বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বড় ছুরি, একটি বড় ও দুটি ছোট স্লাই রেঞ্জ, একটি খেলনা পিস্তল হাতকড়া, অ্যান্টিকাটার, রশি, সিকিউরিটি গার্ডের পোশাকসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত নানা ধরনের জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
ডাকাতির কৌশল সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তাররা প্রথমে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় সিকিউরিটি গার্ড (নিরাপত্তা কর্মী) হিসেবে চাকরি নেন। পরে কারখানার সব তথ্য সংগ্রহ করেন। একপর্যায়ে দলের অন্যদের নিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। টার্গেট করা কারখানার অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মীদের রশি দিয়ে হাত-পা ও কাপড় দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করতেন তারা। যে কারখানা বন্ধ থাকত সেখানে তালা ভেঙে মূল্যবান যন্ত্রাংশ নিয়ে যেতেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মাগুরার মহম্মদপুর থানার জাঙ্গালিয়া মধ্যপাড়া এলাকার মৃত রুস্তম শেখের ছেলে লিটন শেখ (৩৯), দিনাজপুরের বিরামপুর থানার কুলুমক্ষেত্র গ্রামের কালামের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২৬), মাগুরার মহম্মদপুর থানার নারায়ণপুর গ্রামের আবির মোল্লার ছেলে আয়নাল হোসেন পলাশ (৩৬), মহম্মদপুর থানার জাঙ্গালিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আলী আক্কাস মোল্লার ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৪), জামালপুর সদরের বড় গুজিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে মোজাম্মেল হক (৩০), দিনাজপুরের বিরামপুর থানার পুলিখাপুর গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৪০) ও মাগুরার মহম্মদপুর থানার নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম বিশ্বাসের ছেলে ফরহাদ আলী (৩৮)। তারা সবাই ছোট-বড় পোশাক কারখানা, বাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকে ডাকাতি করতেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে একটি চক্র শিল্পাঞ্চলগুলোতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়ার ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তারা সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের টার্গেট করেও ডাকাতি করতেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া আশুলিয়া থানার এসআই নোমান ছিদ্দিক বিটিসি নিউজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বাসাবাড়িতে ডাকাতির খবর পাই। পরে পুলিশের দুই সদস্য নিয়ে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সাতজনের বেশি ডাকাত অবস্থান করছেন। এ সময় তারা আক্রমণাত্মক হয়ে গেলে একজনকে ধরে হাতকড়া পরিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে আটকে দেন। পরে একে একে সবাইকে আটক করতে সমর্থ হন। এ সময় ৩ জন পালিয়ে যান। পরবর্তী সময় অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে তাদের থানায় আনা হয়। তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সাভার প্রতিনিধি মো. শামিম আহম্মেদ (শামিম) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.