নিরাপত্তায় মোড়া হল গঙ্গাসাগর

বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি: এবারে অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গঙ্গাসাগরে। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে গোটা গঙ্গাসাগর বন্দি মেগা কন্ট্রোলরুমের নজরদারিতে। রাজ্য সচিবালয় নবান্ন থেকেই চালানো হবে কড়া নজরদারি।
ড্রোন এবং স্পিডবোট টহল দেবে ২৪ ঘন্টাই। কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। তীর্থযাত্রীদের শারীরিক সুরক্ষার জন্য থাকছে ফুড সেফটি অন হুইল।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসন মনে করছে, মকর সংক্রান্তিতে ৪০ লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে সাগরের পূণ্যস্নানে। শাহিস্নানের শুরু ১৪ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। চলবে রবিবার ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ পর্যন্ত।
আসলে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকেই বিভিন্ন রাজ্য এবং জেলা থেকে মেলায় আসতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। ভিড় এড়াতে আগেই স্নান সেরে ফিরে যাচ্ছেন।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মকর সংক্রান্তির পূণ্যার্থীদের ভিড়। প্রতি বছর গঙ্গাসাগরে স্নান করতে এবং কপিলমুনি আশ্রমে পুজো দেওয়ার জন্য ভিড় করেন লক্ষাধিক পুণ্যার্থীরা।
তবে গত দুবছর কোভিড-ত্রাসে কিছুটা ভাটা পড়েছিল মকরস্নানে। যদিও গত বছরে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। এবারে সরকারিভাবে কোভিড-সুরক্ষায় তেমন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষ কিন্তু যথেষ্ট সচেতন। বেশিরভাগ তীর্থযাত্রীরই সঙ্গে রয়েছে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে ই-স্নানের। দেওয়া হচ্ছে শংসাপত্রও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, দেশ-বিদেশের পূণ্যার্থীদের যাতে বিন্দুমাত্র অসুবিধে না হয়। কয়েকদিন আগেই তিনি নিজে এসে দেখে গিয়েছেন সাগরমেলার প্রস্তুতি। শুক্রবার সাগরে পৌঁছে গিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
এবারে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, ১০০ টাকার একটি টিকিটেই কলকাতা থেকে সরাসরি পৌঁছানো যাচ্ছে গঙ্গাসাগরে। মেলায় ২২৫০টি বাস, ৫০০ বেসরকারি বাস চালু থাকবে। ৪টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ এই সময় চলবে। এক টিকিটে গঙ্গাসাগর যাওয়া-আসা করা যাবে।
নিরাপত্তার আয়োজনও ব্যাপক। বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১১০০ সিসি ক্যামেরা। ড্রোনের সাহায্যে আকাশপথে ও স্পিড বোটের সাহায্যে জলপথেও চলবে নজরদারি।
সরকারি আধিকারিকরা বিনিদ্র রজনী কাটাবেন মেগা কন্ট্রোলরুমে। এখানে থাকছে ৫২টি এলইডি টিভি ও ১টি সুবিশাল এলইডি স্ক্রিন। বারাণসীর ধাঁচে এবার গঙ্গাসাগর মেলায় ১২,১৩ ও ১৪- এই তিনদিন বিশেষ আরতির ব্যাবস্থা থাকছে।
গঙ্গাসাগরে অস্থায়ী দোকান খাবারের গুনগত মান যাচাইয়ের জন্য এই প্রথম থাকছে ফুড সেফটি অন হুইলস।
আগুনের সঙ্গে লড়াই করতে ১০টি দমকল কেন্দ্রে ২৫টি দমকলের ইঞ্জিন মোতায়েন থাকবে। সবমিলিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ব্যবস্থা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি সৌম্য সিংহ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.