বিটিসি জীবন যাপন ডেস্ক: চানাচুরে আছে ট্রান্সফ্যাট: চানাচুরে আছে ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট। যদিও চানাচুর দেখে বোঝা কঠিন যে এটি তৈরি করতে তেল ব্যবহার করা হয়েছে।
অধিকাংশ চানাচুরই তেলে ডিপ ফ্রাই করে তৈরি করা হয়। একই তেল বারবার ব্যবহার করা হয়।
অর্থাৎ চানাচুর তৈরির প্রক্রিয়াই এমন যে এতে ট্রান্সফ্যাট থাকে।
চানাচুর খেলে তাই রক্তে খারাপ চর্বির মাত্রা বাড়তে পারে।
আরও আছে লবণ:
প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। অথচ চানাচুরে বেশ খানিকটা লবণ থাকে। এ ধরনের খাবার, যাতে বাড়তি লবণ যোগ করা থাকে, সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলা আবশ্যক।
ক্যালরির হিসাব-নিকাশ:
চানাচুর উচ্চ ক্যালরির খাবার। কারণ, এতে তেলের পরিমাণ বেশি। অল্প পরিমাণ চানাচুরেই অনেক ক্যালরি থাকে। তাই অল্প পরিমাণ চানাচুর খেলেও থাকে ওজন বাড়ার ঝুঁকি। কোনো কোনো চানাচুরে আবার স্বাদের বৈচিত্র্য আনতে চিনিও যোগ করা হয়ে থাকে। যেমন বারবিকিউ চানাচুর বা টক-ঝাল-মিষ্টি চানাচুর। চিনি যোগ করা চানাচুরে বাড়তি ক্যালরি যোগ করা হয়। চিনির কারণেও বাড়ে নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি।
ডাল, লবণ আর মসলায় আরও ঝুঁকি:
# চানাচুর তৈরি হয় ডাল থেকে। চানাচুর খেলে দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
# যাঁদের দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ আছে কিংবা যাঁরা এ রোগের ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের জন্য অতিরিক্ত ডাল ও লবণ ক্ষতিকর। তাঁদের তাই চানাচুর এড়িয়ে চলা উচিত।
# নানা রকম মসলা থাকায় চানাচুর খেয়ে অনেকে অ্যাসিডিটিতে ভোগেন।
কারা খাবেন, কারা খাবেন না:
যেকোনো বয়সী মানুষের জন্যই আদতে চানাচুর ভালো খাবার নয়। পুষ্টিগত দিক থেকে এর কোনো উপকারিতাও নেই।
তবে একজন সুস্থ মানুষ কালেভদ্রে চানাচুর খেতে পারেন। সেটিও দু-তিন মাসের মধ্যে দুই থেকে একবারের বেশি নয়। অবশ্য শুধু চানাচুর খেতে গেলে কম পরিমাণে গ্রহণ করা কঠিন। এর আকারই এমন যে মুঠো করে খেয়ে নিতেই সুবিধা। তা ছাড়া সুস্বাদু চানাচুর খাওয়া শুরু করলে নিজেকে বিরত রাখাও কষ্টকর। অথচ মুঠো মুঠো চানাচুর খেলেই কিন্তু মুশকিল। বাড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
তাই কালেভদ্রে চানাচুর খেলেও খাবেন অল্প। মুড়ি, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, টমেটো, ধনেপাতা বা পুদিনাপাতার সঙ্গে মিশিয়ে নিন। কোনো খাবারের বিকল্প হিসেবে কখনোই চানাচুর খাবেন না। ধরা যাক, আপনি চানাচুর থেকে পাওয়া ক্যালরির ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভাত বা অন্য কোনো খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিলেন। তাতে ক্যালরির ভারসাম্য হবে ঠিকই, কিন্তু চানাচুরের ট্রান্সফ্যাট ও বাড়তি লবণের কারণে বাড়তি স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েই যাবে।
মনে রাখতে হবে, বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি কিংবা যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ বা পেপটিক আলসার ডিজিজে ভুগছেন কিংবা যাঁদের ইউরিক অ্যাসিড বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, কালেভদ্রে খাওয়া এই কম চানাচুরও তাঁদের এড়িয়ে চলা উচিত। #

















