নিউজিল্যান্ডে জিতবে বাংলাদেশ : তামিম

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে দল নিয়ে রোমাঞ্চিত তামিম ইকবাল। কন্ডিশন যেমনই হোক পরিকল্পনা আর সামর্থ্য মতো খেলতে পারলে, যে কোনো দলকেই হারানো সম্ভব, বিশ্বাস বাংলাদেশের ওয়ানডে দলপতির। নিজেদের ফিট রাখতে সবাই রুমেই সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু তামিম নয়, মাঠে নামতে মুখিয়ে আছেন দলের সব ক্রিকেটাররাই।
তামিম ইকবাল নিজেকে দুর্ভাগা মনে করতেই পারেন। অধিনায়কত্ব পাবার পর, অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করতে হলো প্রায় এক বছর। তার নেতৃত্বে প্রথম বিদেশ সফরে গেছে দল, তবে সেখানেও কতো বাধ্যবাধকতা।

নিউজিল্যান্ডে পৌঁছানোর প্রায় সপ্তাহ পার হতে চললো, এখনো মাঠের মুখ দেখেননি ক্রিকেটাররা। আইসোলেশন নিয়ে কোনো সমস্যা না হলেও, আছে ফিটনেস ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ।

দুই দফা কোভিড নেগেটিভ এসেছে সবার। আর একটা পরীক্ষা বাকি। সেখানে ফল পক্ষে থাকলেই পাওয়া যাবে মাঠে নামার অনুমতি। তার আগে নিজেদের ফিট রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সবাই।

তামিম বলেন, ‘কাল কোভিড টেস্ট নেগেটিভ আসলে আমরা পরশু থেকে জিম ব্যবহার করতে পারবো। এখানে দুইটা জিম আছে। গ্রুপে গ্রুপে ব্যবহার করতে পারবো। রুমের মধ্যে প্রায় ২৩ ঘণ্টা থাকতে হয়। রুমে সাইকেল আছে। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করি। সাইক্লিং করি। সব ঠিক থাকলে ৮ম দিন থেকে ছোট ছোট গ্রুপে মাঠে গিয়ে অনুশীলন করবো। আমরা সবাই মুখিয়ে আছি সেটার জন্য।

সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভরাডুবির পর ক্রিকেটারদের নিয়ে হয়েছে তুমুল সমালোচনা। নিউজিল্যান্ডে কেমন করছে দল সেদিকেও থাকবে সবার দৃষ্টি। তবে  দলের সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই তামিমের। তাই বিরুদ্ধ কন্ডিশনেও দলের ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী অধিনায়ক।

তামিম বলেন, বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিদেশ ট্যুর আমার। আশা করছি প্রথম ওডিআইয়ের আগে অনুশীলনে দল হিসেবে প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। সবার সাথে কথা বলে বুঝেছি সবাই ভালো করতে চায় দলের জন্য। আমি খুবই আশাবাদী। বাংলাদেশ দলের ঐ সামর্থ্য আছে।  যদি সবাই প্ল্যান মাফিক খেলতে পারি, একসাথে পারফর্ম করলে যে কোনো দলকে হারানো সম্ভব। এটা আমি বিশ্বাস করি। শুধু তাই না দলের সবাই এটা বিশ্বাস করে।

করোনার মধ্যে হোটেল বন্দি হয়ে থাকাটা ক্রিকেটারদের জন্য নতুন কিছু নয়। তবে নিউজিল্যান্ডে যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে তা একেবারেই নতুন। অধিনায়ক জানালেন নিজের অভিজ্ঞতা। তিনি জানান, ‘আমি সারাদিন অ্যামাজন আর নেটফ্লিক্স দেখে সময় পার করছি। কারো সাথে দেখা করার সুযোগ নাই। প্রথমবার খোলা বাতাসে গিয়ে একটু আজব লাগসে। দুই-তিন দিন রুমের মধ্যে ছিলাম সবাই। সবার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগলো। সব কিছুই বেশ আলাদা। সবার জন্য চ্যালেঞ্জিং কিন্তু দিন পার করে ফেলেছি।’

সেলফ আইসোলেশনের চ্যালেঞ্জ ভালোমতোই পার করেছে বাংলাদেশ দল। এখন দেখার অপেক্ষা মাঠের চ্যালেঞ্জ কতটুকু নিতে পারে টাইগাররা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.