না ফেরার দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিংহপুরুষ হুমায়ুন কবীর

   
ব্রাহ্মণবাড়িয়া  প্রতিনিধি: না ফেরার দেশে চলে গেলেন সফল রাজনীতিবিদ ও এরশাদ সরকারের সাবেক উপ-মন্ত্রী অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর (ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন)।
আজ রোববার সকাল অসুস্থ হলে পৌনে ৯টাeর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক শওকত হোসেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭বছর। হুমায়ুন কবীর স্ত্রী মেয়র নায়ার কবীর, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
বরেণ্য রাজনীতিবিদ হুমায়ুন কবীর ১৯৫২সালের ২ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৈরতলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বজলুর রহমান ও মাতার নাম উকিলুন্নেচ্ছা।
হুমায়ুন কবীর ছাত্র জীবনে ১৯৭০সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের ভিপি ছিলেন। পরে তৎকালীন মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে তিনি সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৭সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কনিষ্ঠতম পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৮৪সালে তিনি পূনরায় পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৭সালে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। এসময় তিনি জেলার বিভিন্ন উন্নয়মূলক কাজে অসামান্য অবদান রেখেন। হুমায়ুন কবীর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
শুধু তাই নয় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক দিনদর্পন এর প্রকাশক ও সম্পাদক ছিলেন।
অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর দীর্ঘদিন যাবত ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ সহ নানান রোগে ভুগছিলেন। সর্বশেষ অসুস্থতা থাকায় তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। সেখানে সুস্থ হলে বাড়িরে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.