নাসিরনগরে ঐতিহ্যবাহী পণ্যের বিনিময়ে শুটকির মেলা

বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুণ্ডা গ্রামে ও নাসিরনগর সদরের উত্তরে লঙ্গন নদীর পাড়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বসেছে শত বছরে ঐতিহ্যবাহী পণ্যের বিনিময়ে বৈশাখী শুটকির মেলা।
এ মেলায় প্রাচীন পণ্য বিনিময় প্রথা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। এখানে বিভিন্ন পণ্যের বিনিময়ে পাওয়া যায় মাছের শুঁটকি। শত বছরের ঐতিহ্য ধারণ করে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে শুঁটকিপ্রেমীরা এখােন ভীড় জমায়। মেলায় পাওয়া যায় দেশীয় মিঠাপানির ছোট বড় বিভিন্ন মাছের শুঁটকি।
বাংলা বর্ষ পঞ্জিকার প্রথা অনুযায়ী বৈশাখের দ্বিতীয় দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রতিবছর এই দুই স্থানে মেলা বসে। স্থানীয় জেলে সমাজ পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে ব্যতিক্রমী এ মেলায় শুটকির পসরা সাজিয়ে দোকান খুলে বসেন। নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের কুলিকুণ্ডা গ্রামের কুলিকুণ্ডা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শনিবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে রবিবার পর্যন্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ শুটকি মেলা প্রায় একশ’ বছরের পুরোনো। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শুঁটকি ব্যবসায়ী ছাড়াও ভোজনরসিকেরা শুটকি বেচা কেনা করতে আসেন এ মেলায়।
গ্রামের লোকজন ও দোকানিদের মধ্যে চলে পণ্যের বিনিময়ে পণ্য প্রদান। কিন্তু সেটি ঐতিহ্য রক্ষায় স্বল্প সময়ের জন্য। স্থানীয় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত চাল, ডাল, ধান, সিমের বিচি, আলু, শর্ষে, পেঁয়াজ, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের বিনিময়ে শুঁটকি কিনে নেন। বিনিময় প্রথার পাশাপাশি টাকা দিয়েও শুঁটকি কেনা যায়। মেলায় শুঁটকির পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ শিশুদের নানা ধরণের খেলনা সামগ্রীও বিক্রি হয়।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, কুলিকুণ্ডা শুটকির মেলায় নাসিরনগর ছাড়াও অনেক দুরদুরান্ত থেকে বিভিন্ন ধরণের শুটকি নিয়ে এসেছে ব্যবসায়ীরা। মেলায় বিভিন্ন মাছের জাতভেদে প্রতি কেজি শুটকি ২৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর ভোজন রসিকরা তাদের রসনার স্বাধ গ্রহণ করতে এ সমস্ত শুটকি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি মো: লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.