নারী জঙ্গি তৈরি বিবাহবন্ধন একটি নতুন পদ্ধতি

 

ঢাকা প্রতিনিধি: বিবাহবন্ধন নারী জঙ্গি তৈরির একটি পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলেছেন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ।  আত্মীয়-স্বজন ও পারিবারিকভাবে জঙ্গি মতাদর্শ ছড়ায় জঙ্গিরা।

তিনি আরও বলেন, হলি আর্টিজান হামলার পর জঙ্গিরা সংকুচিত হয়ে পড়েছিলো। সদস্য সংগ্রহে তাদের সংগঠনগুলো খুব বেশি সক্ষম হচ্ছিলো না। কারণ ওই বর্বর ঘটনার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিলো, কোনো সদস্যই খুঁজে পাচ্ছিলো না, জঙ্গিরা তখন ফোকাস করে তাদের কাছের মানুষদের ওপরে। স্ত্রী-পুত্র-কন্যা, আত্মীয়স্বজনদের মধ্যদিয়েই সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা করে।

এক প্রশ্নের জবাবে মে. জে. আবদুর রশিদ বলেন, নারীদের মধ্যে জঙ্গিবাদের মতাদর্শ ছড়াচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর মহিলা ইউনিট ইসলামী ছাত্রী সংস্থা। এই মতাদর্শ দিয়ে মেয়েদের জঙ্গিবাদের সঙ্গে য্ক্তু করে। এ ছাড়া দেশের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে জামায়াতের মালিকাধীন। মানারাতসহ অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে জামায়াতের। প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদ মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করা হয়। মৌলবাদ থেকে ধীরে ধীরে তাদেরকে জঙ্গিতে পরিণত করে।

জনাব রশিদ বলেন, জঙ্গির স্ত্রী জঙ্গি, জঙ্গির বোন জঙ্গি, এক জঙ্গির বোনের বিয়ে দিয়েছে অন্য জঙ্গির সঙ্গে। ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্য হিসেবে সেখান থেকেও একটা মোটিভেশন পেয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা পড়ালেখা করে সেখানেও তাদের মোটিভেটেড করে। জঙ্গিপথে তাদের ধাবিত করা হয়।

মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, এখানে নারী জঙ্গির সংখ্যা খুব একটা বাড়েনি, যা আমাদের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। তাদেরকে জঙ্গিবাদে অনুৎসাহিত করা কিংবা মগজধোলাইয়ের হাত থেকে বাঁচাতে হলে পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক নজদারি করা উচিত। তা না হলে এই নারীরা বড় ধরনের জঙ্গিতে পরিণত হবে। তবে যতদিন দেশে মৌলবাদের ক্ষেত্র থাকবে ততদিন সেই ক্ষেত্র থেকে জঙ্গি উৎপাদন হবেই।#

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.