নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সড়কের পাশের ড্রেন থেকে জনি সরকার (২৫) নামে এক যুবকের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা ও মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ জুন) রাতে ফতুল্লার লালখা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিহত জনির বাবা করুনা সরকার (৫৩) ও মা অনিতা রানী সরকার (৪৮)। তারা সপরিবারে ফতুল্লার শিয়াচর লালখা এলাকার দুলালের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় ড্রেনের ভেতর থেকে একটি বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জনি সরকারের বাবা তার ছেলের মরদেহ বলে শনাক্ত করে। ঘটনার পর নিহত জনির বাবা নিজেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশ তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বাবা-মায়ের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায় হত্যাকাণ্ডে এবং তাদের গ্রেপ্তার করে।
ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, নিহত জনি সরকার একজন মাদকাসক্ত এবং বখাটে প্রকৃতির যুবক ছিলেন। মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই বাবা-মাকে মারধর করতেন তিনি। ঘটনার দিন, সোমবার রাতেও টাকার জন্য তিনি খারাপ ব্যবহার করেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে, জনির বাবা ঘুমন্ত ছেলেকে প্রথমে রুটি বানানোর কাঠের বেলুন দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করে অচেতন করেন। এরপর শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত করেন। পরে রাত আনুমানিক ২টার দিকে জনির হাত-পা বেঁধে একটি বস্তায় ভরে মরদেহ নিজেই মাথায় করে বাড়ির পাশে লালখা মোস্তফার গলির ড্রেনে ফেলে রেখে আসেন।
ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জনির বাবা-মা হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.