নাটোর বিদ্যালয়ের ছাত্রদের হাতে হাতে এন্ড্রয়েড ফোন

মো.নাসিম উদ্দীন নাসিম (নাটোর থেকে): ডিজিটাল আসক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হবে অভিভাবকদের নাটোর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের হাতে হাতে এন্ড্রয়েড ফোন।

শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল আসক্তির ফাঁদে পরেছে ।শিক্ষকরা মাঝে মধ্যে তল্লাশী চালিয়ে মোবাইল ফোন আটক করলেও অভিভাবকরা এসে ফেরত নিয়ে যাচ্ছে । যে সময়ে হাতে কলম খাতা পাঠ্য বই থাকবে,সে সময়ে তাদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধসহ বাড়িতেও এ ব্যাপারে দেখভাল করতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। মোবাইলের পাশাপাশি ফেসবুকেও আসক্তি বাড়ছে ছাত্র-ছাত্রীদের।

এগুলো শিক্ষার ওপর বিরূপ ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অভিভাবকরা মনে করছেন সন্তানকে মোবাইল দিয়ে কখন কোথায় আছে খোঁজ নেবেন। সে জন্য বোটাম ফোন দিন ।কিন্তু এন্ড্রয়েড ফোন নয় । অভিভাবকরা ভুল মনে করছেন। বরং মোবাইল দিয়ে সন্তানকে তাদের কাছ থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছেন। তারা একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন তার সন্তান যখন মোবাইল ব্যবহার করে সে উদাসীন হয়ে যায়, সে কোথায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করছে পরিবারের কেউ ভাবতেও পারছেন না। হয়তো অভিভাবকরা মনে করছেন তাদের সন্তানরা মোবাইলে গেম খেলছে। তারা একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবে সে কিসে ডুবে আছে।

সে শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবার, ইমো তে নেই, একটু খেয়াল করলেই দেখবেন সে ইউটিউব, গুগল ইত্যাদি মাধ্যমে প্রবেশ করে। এতে পরিবারের সন্তানরা নিজেদের অজান্তে ভুল পথে পা বাড়ায়, তখন সে পরিবারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

দেখা গেছে, যেসব স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেসব স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল অন্য স্কুলের তুলনায় ৬ শতাংশ ভালো। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। এতে নিহত ও আহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বাড়ছে পঙ্গুত্বের পরিমাণ।

বেশির ভাগ দুর্ঘটনার শিকার উঠতি বয়সী বা স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থী। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বাইক চালানো, হেলমেট ব্যবহার না করা এবং চালকের প্রশিক্ষণ না থাকা দায়ী। স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বলে বিজ্ঞানীরা লক্ষ করছেন।

পশ্চিমা দুনিয়ায় বলা হচ্ছে, অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে ‘স্ক্রিন অ্যাডিকশন’ দেখা দিয়েছে এবং তা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। অ্যাডিকশন মানে আসক্তি। কথাটা মাদকদ্রব্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়। এখন ইউরোপ–আমেরিকার লোকজন বলাবলি শুরু করেছেন, পর্দার প্রতি আসক্তি কোকেনের প্রতি আসক্তির মতোই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখে যাচ্ছে, অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা দিনে পাঁচ থেকে আট ঘণ্টা ডিজিটাল যন্ত্র নিয়ে মেতে থাকছে। বাইরে বেড়াতে যাওয়া, খেলাধুলা করা, মুখোমুখি বসে আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি সব ধরনের ফেস–টু–ফেস ইন্টার–অ্যাকশনে আগ্রহ কমে যাচ্ছে। কোমলমতি সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তায় তাদের হাতে মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকবার ভাবা জরুরি বলে মনে হয়। আদরের সন্তানের হাতে স্মার্টফোন ও মোটরসাইকেল তুলে দেওয়ার ভালোর চেয়ে মন্দ ফল বেশি।

এটি সন্তানকে জীবনের ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি দেওয়া জরুরি।বিশ্বখ্যাত ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্টিভ জবস তাঁর সন্তানদের নিজের প্রতিষ্ঠানের তৈরি আইপ্যাড ব্যবহার করতে দেননি।

তিনি একবার নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার কাছে মন্তব্য করেছিলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার আক্ষরিক অর্থেই সমাজের সঙ্গে ব্যক্তির, ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির সম্পর্ক বদলে দিচ্ছে। আর আমাদের ছেলেমেয়েদের মস্তিষ্কের যে কী ক্ষতি হচ্ছে, তা শুধু ঈশ্বরই জানেন।’ স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বলে বিজ্ঞানীরা লক্ষ করছেন।

পশ্চিমা দুনিয়ায় বলা হচ্ছে, অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে ‘স্ক্রিন অ্যাডিকশন’ দেখা দিয়েছে এবং তা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। অ্যাডিকশন মানে আসক্তি। কথাটা মাদকদ্রব্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়।

এখন ইউরোপ–আমেরিকার লোকজন বলাবলি শুরু করেছেন, পর্দার প্রতি আসক্তি কোকেনের প্রতি আসক্তির মতোই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখে যাচ্ছে, অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা দিনে পাঁচ থেকে আট ঘণ্টা ডিজিটাল যন্ত্র নিয়ে মেতে থাকছে। বাইরে বেড়াতে যাওয়া, খেলাধুলা করা, মুখোমুখি বসে আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি সব ধরনের ফেস–টু–ফেস ইন্টার–অ্যাকশনে আগ্রহ কমে যাচ্ছে।

এ রকম ক্ষতিকর প্রবণতার আশঙ্কা সবার আগে জেগেছিল প্রযুক্তি জগতের বড় বড় লোকদের মনে। কয়েক বছর আগেই তাঁরা এ বিষয়ে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। এখন আমরা অনেকেই জানি, বিশ্বখ্যাত ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্টিভ জবস তাঁর সন্তানদের নিজের প্রতিষ্ঠানের তৈরি আইপ্যাড ব্যবহার করতে দেননি।

তিনি একবার নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার কাছে মন্তব্য করেছিলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার আক্ষরিক অর্থেই সমাজের সঙ্গে ব্যক্তির, ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির সম্পর্ক বদলে দিচ্ছে।

আর আমাদের ছেলেমেয়েদের মস্তিষ্কের যে কী ক্ষতি হচ্ছে, তা শুধু ঈশ্বরই জানেন।’ অ্যাপলের বর্তমান চিফ অপারেটিং অফিসার টিম কুক গার্ডিয়ান পত্রিকাকে বলেছেন, তিনি জানেন যে একটা পর্যায়ে তাঁর ছেলেমেয়েদের স্মার্টফোন দিতেই হবে, তবে তিনি চেষ্টা করছেন যতটা সম্ভব দেরি করে দেওয়া যায়।

মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত ফোন ব্যবহার করতে দেননি।

ফেসবুকের প্রথম চেয়ারম্যান সিয়ান পারকার ফেসবুক ছেড়ে দেওয়ার পরে ফেসবুক সম্পর্কে নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, ‘এই যে ক্ষণিক, ডোপামিন–তাড়িত ফিডব্যাক লুপস আমরা তৈরি করেছি, এটা আমাদের সমাজের স্বাভাবিক সক্রিয়তা নষ্ট করে দিচ্ছে। সামাজিক আলাপ–আলোচনা নেই, পারস্পরিক সহযোগিতা নেই; আছে ভুল তথ্য আর মিথ্যা।’

তিনি এখন আর ফেসবুক ব্যবহার করেন না। এ ব্যাপারে তাঁর সাফ কথা, ‘আমার নিজের ওপর নিয়ন্ত। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.

uasry uasry uasry uasry ury uasry usry urasy urasy uryas