নাটোরে শীতকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করেছে ধনুকররা


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে শীতের আগমনী বার্তায় লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছে ধনুকররা। গ্রামীন জনপদে বিরাজ করছে হিম হিম আমেজ। সকাল এবং সন্ধ্যায় দৃষ্টি সীমা হরন করছে কুয়াশায়। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে, সন্ধ্যা হলে কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে এখানকার জনপদ।
রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে হাল্কা শীত পড়ায় ফ্যানের কদর কমে বাড়িতে শুরু করেছে হাল্কা কাঁথা, কম্বল ও চাদরের। ফলে বেরিয়ে পড়ছে তুলে রাখা কাঁথা, কম্বল, সুয়েটার, মাফলার, লেপসহ শীত নিবারনের সকল বস্ত্র। সেই সাথে মানুষ ভীড় জমাচ্ছে ধনুকরদের দোকানে লেপ-তোষক তৈরী করে নিতে। আর গ্রাহকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছে এখানকার ধনুকররা।
নাটোরের আরমান বোডিং ষ্টোরের কাপড় ব্যবসায়ী আরমান খাঁন জানান,এবারে শীতের তীব্রতা বাড়বে আশঙ্কায় লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এখানে প্রতিটি লেপ তুলার রকম ভেদে ১হাজার ৫শ থেকে ৩হাজার টাকায় এবং তোষক ১হাজার থেকে ২হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাপড় ব্যবসায়ী রুস্তম খাঁন বলেন,জেলায় শীতের আগমনী বার্তা এসে পড়ায় মানুষ আগাম লেপ-তোষক তৈরীতে ঝুকে পড়েছেন। তাই লেপ-তোষকের কাপড় ও তুলার ব্যবসা বর্তমানে জমে উঠেছে।
ধনুকর কাশেম মিয়া,জামাল আলী,রতন সরদার জানান, আমরা প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৭টি লেপ ওতোষক তৈরী করে ১হাজার থেকে ১হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত রোজকার করতে পারি। তুলা ব্যবসায়ী সাত্তার জানান কার্পাস তুলা কেজি ২৫০,শিমুল তুলা ৩০০ এবং গার্মেন্ট তুলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। লেপ-তোষক তৈরীর কাজে ব্যস্ত ধনুকর কাশেম মিয়া জানান, বর্তমানে দেশী তুলা
বিশেষ করে শিমুল ও কার্পাস তুলার উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেশীর ফলে বেশীরভাগ গার্মেন্টেস এর জুটের তুলা দিয়ে লেপ তোষক তৈরী হচ্ছে। তারা বৎসরের এই সময়টার উপার্জন দিয়ে বাকী সময় পারি দেয়ার জন্য দিন-রাত একাকার করে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানায়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.